বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

৯৯৯-এ ফোন করে রক্ষা পেলেন ৩০ শ্রমিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তথ্য দেয়ার পর রক্ষা পেলেন জীবন সংশয়ে পড়া ৩০ শ্রমিক। বরিশালের হিজলা থানার মেঘনার শাখা নদীতে ভাসমান একাধিক ড্রেজার থেকে তাদের উদ্ধার করেন পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যেরা।

গতকাল রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি বোটে অভিযান করে তাদের উদ্ধার করেন পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যেরা।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কৃত্তিবাস ঢালী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উদ্ধার শ্রমিকরা জানান, হিজলা থানার মেঘনার শাখা নদীতে নৌযান চলাচলের পথকে সচল রাখতে সরকারি উদ্যোগে তারা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু খননের কাজ করছিলেন। ঘূ্র্ণিঝড় ‘বুলবুল’ যখন সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেসময় নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। এতে তারা কাজ বন্ধ করে নিজেদের হাউজ-বোটে গিয়ে আশ্রয় নেন। বুলবুল সুন্দরবন পার হয়ে বরিশাল দিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে ঝড়ো দমকা হাওয়া বেড়ে গেলে হাউজ-বোটের লোহার নোঙড় ছিঁড়ে যায়। এতে জীবন সংশয় দেখা দেয় শ্রমিকদের। পরে রমজান নামে এক শ্রমিক ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান। এতে পুলিশ সদস্যেরা সাড়া দেন।

৯৯৯-এ কর্মরত এসআই মুহা. নওশেদ বলেন, বিকেল ৩টার পর ৯৯৯-এ রমজান নামে একজন কল করে জানান, তারা নদীর মধ্যে বিপদের মধ্যে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রথমে হিজলা থানার ওসি, এরপর পুলিশ কস্ট্রোল রুল, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীকে জানাই। পরে হিজলা থানা পুলিশের নেতৃত্বে মেঘনার শাখা নদীতে থাকা কয়েকটি ড্রেজার মেশিন থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়।

হিজরা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার বলেন, আমরা মেসেজ পাওয়ার পর উদ্ধার কাজে নামি। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেখানে যেতে একটু দেরি হয়। নৌ-বাহিনীর একটি বোট নিয়ে আমরা চলে যাই ওই নদীতে। সেখানে পাশাপাশি কয়েকটি ড্রেজার ছিল। প্রচণ্ড বাতাসে ড্রেজারের সঙ্গে থাকা হাউজ-বোটের নোঙড় ছিঁড়ে যায়। এতে শ্রমিকরা জীবন সংশয়ে পড়েন। তারা মনে করেছিলেন, আর বাঁচার কোনও পথ নেই। আমরা সেখান থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ