বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি

কুরআন গবেষক মাওলানা আতীক উল্লাহকে ফেরত চায় সমাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তানভীর সিরাজ।।

রুম আছে মানুষ নেই। বাসিন্দা নেই কামরা ঠিকই আছে। আচ্ছা যিনি সবসময় এ কক্ষে কিতাব নিয়ে সময় ব্যয় করতেন তিনি আজ কোথায়? আজ তিনি অস্বাভাবিক জীবনে, অনেক দূরে। কিতাব, খাতা, কলম আর ছাত্র ও ভক্ত সবি আছে, নেই শুধু সেই তিনি। রুমের চারপাশে কিতাব দিয়ে সাজানো কিতাব-বাগান। যার থেকে ইলমের খুশবো বুঁ বুঁ করছে। কিন্তু তিনি নেই।

শুনেছি তিনি রাত জেগে লিখতেন, পড়তেন আর অজানা জগতে হারিয়ে যেতেন। সে ঠিকানার অবস্থান একমাত্র তিনিই বুঝতে পারেন যিনি তার মহলের। মুফতি আজম আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. বলতেন, ‘আরে ভাই, ইলমে যে স্বাদ আছে তাকি স্বর্গেও আছে? নেই।’ তিনি এমন পরিবারের এক কিতাবপোকা ছিলেন। তিনি পরনিন্দা করতেন না এবং তা শুনতেনও না। তার রুমে একটি কাগজে লিখা আছে ‘কারো গীবত করবো না’ ‘গীবত শুনবো না’।

ধর্মীয় বিষয়ে লেখালেখি আর ফিকরে দ্বীনের দরদে দিল রাত জেগে ঘুম ভাঙ্গতো যার, তার কথাই বলছি তিনি আজ দারুল মুতালায় নেই। তার অনুপস্থিতিতে রুম তার চাপাকান্না করে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে আর শেষমেশ নাকি ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়! কিন্তু শব্দহীন কান্নার সেই অনুভূতি-আওয়াজ কার আছে! কিতাব-মুতালা যাদের ঘুমকে হারাম করে, কিতাবের পোক যারা, মুতালা যাদের খোরাক, কেবল তারাই শুনবেন চাপাকান্নার এই ধ্বনি।

তার উস্তাদ শায়খ ড. মাহমুদুল হাসান লিখেন, এখনও চোখে ভাসছে কিশোর আতীকের চোখগুলো। সময় সময় হয়ে যেত লালাভ। আমার রুমে একবার ঢুকল লাল চোখ নিয়ে। আমি বললাম- আতীক, তোমার দিকে তাকাতে ভয় লাগছে। চোখ এমন টকটকে লাল কেন? সে লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেলল। বুঝলাম, না ঘুমিয়ে রাত জেগে বই পড়েছে। বই পোঁকা নিরীহ ছেলেটি কি কারো জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বুঝতে পারছি না!

তিনি আরো লিখেন, দু’বার পবিত্র মক্কা নগরীতে কিছু সময় পাশাপাশি কেটেছে। প্রতি বার দেশে গেলে এক দিন ঢাকায় আমার সাথে এখানে ঔখানে যায়। এয়ার পোর্টে আমাকে বিদায় দিয়ে যায় প্রায় নিয়মিত। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক হলেও গাড়িতে পাশাপাশি বসে গল্প করি অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। অনেক ইলমী বিষয় উঠে আসে কথায়। আমি তার কিছু আহরিত তথ্য শুনে সমৃদ্ধ হই, চমকিত হই।

প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী পাঠক! আশাকরি আপনারা বুঝেছেন কার চরিত নিয়ে কথা হচ্ছে। জ্বি, মাজলুম তুলে নেয়া কুরআন গবেষক, বিশিষ্ট লেখক হযরত মাওলানা আতিকুল্লাহ সাহেবের কথা বলছি।

আসুন বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া এই নক্ষত্রকে আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হই।

আলেম সমাজের রাহবার যারা, বাংলার আপামরজনতা এবং সরকার যাদের মুকতাদায়ে কাওম হিসেবে মূল্যায়ন করেন তাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, জনাব, মেহেরবানি করে আপনারা একটু সচেষ্ট হোন আপনাদেরই রত্ন মানিক, ইলমের খনি কুরআন গবেষক মাওলানা আতিকুল্লাহকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে।

লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ