শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


রাজশাহী পলিটেকনিকে অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর বেলপুকুর এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও চন্দ্রিমা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজ সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন অধ্যক্ষের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই মূলহোতারা আত্মগোপন করেছিলেন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকোড় বাজারের বজলুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন সৌরভ (২৪), পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের রইচ শেখের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে শান্ত (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের শামিমুল ইসলামের ছেলে সালমান টনি (২২), রাজশাহী মহানরগরীর ভদ্রা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রায়হানুল ইসলাম ওরফে হাসিব (২১) এবং জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন (১৯)। এরা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, সৌরভ মামলার এক নম্বর আসামি। এছাড়া মুরাদ দুই, শান্ত তিন, টনি ছয় এবং হাসিব সাত নম্বর আসামি। সবাই ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মী। সৌরভ পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার ঘটনায় তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় রাতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে ওই রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ। এরপর পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূলহোতারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

গত ১২ নভেম্বর অধ্যক্ষ ফরিদকে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। অবশেষে মূলহোতা সৌরভসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। এ নিয়ে মোট ১৮ জন গ্রেপ্তার হলেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ