শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

শাবিতে হল বন্ধ, বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সন্ধ্যা ৭টার পর বাইরে থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া সমাবর্তনের সময় ছাত্র হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার এক নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুটি ছাত্রী হলের অবাসিকদের সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে হলে ঢোকার নির্দেশ দেয়।

এ দুই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবর্তনের দিন হল খোলা রাখার দাবিতে বুধবার তাদের মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাধা দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করেন।

ফয়সাল আহমেদ শুভর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ্য, তানভির আকন্দ, তাবিয়া তাসনিম আনিকা, নিশাত জাহান নিসা, নাজিরুল আজম ও স্বপন আহমেদ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বুধবার আমরা যৌক্তিক দাবিতে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রক্টর আমাদের মানববন্ধন করতে দেননি।

তানভির আকন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কোনো মন্তব্য না নিয়ে একের পর এক ফরমান জারি করে, আইন তৈরি করে সেটা আমাদের মানতে বাধ্য করে। এসব আইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাংস্কৃতিক চর্চা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে।

সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ্য বলেন, প্রশাসন সুযোগ পেলেই অযৌক্তিক কারণে হল বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়। শীতকালীন অবকাশে ও সমাবর্তনে হল বন্ধ রাখা যুক্তিসংগত নয়।

তাবিয়া তাসনিম আনিকা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রাচীর নির্মাণের পরও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিতে পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা। ছেলেদের সন্ধ্যা ৭টার পর হলে ঢুকতে হয় না, তাহলে মেয়েরা কেন ঢুকবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এ বৈষম্য কেন তা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই’।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে প্রক্টরিয়াল বডির অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা বুধবার মানববন্ধন করার সময় আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এ জন্য তাদের মানববন্ধনে আমরা বাধা দিই।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সমাবর্তনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে তার জন্য তারা সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক’। তবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ছাত্রী হল বন্ধের বিষয়ে প্রক্টর কোনো মন্তব্য করেননি।

সোমবার সিন্ডিকেট সভায় সমাবর্তনের সময় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দু’দিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার ছাত্রী হলে সান্ধ্য আইন জারির ঘোষণায় বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যায়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ