শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ময়মনসিংহ জোড় ইজতেমা: মাঠ প্রস্তুতে ব্যস্ত মাদরাসা শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমিন বাপ্পি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের আকুয়া মারকাজের নির্ধারিত জায়গায় আসন্ন ১৮ জেলার আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য জোড় ইজতেমার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বিশাল মাঠ, বিশাল প্যান্ডেল। ইজতেমা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। মাঠ সংস্কার, মঞ্চ, মেহমান থাকার স্থান, অজুর পানি, খাওয়া-দাওয়া ও গোসলের পানি, স্যানিটেশন তৈরির সব কাজই প্রায় শেষ।

তাবলীগ জামাতের কর্মীদের মতো স্থানীয় বাসিন্দারাও আনন্দিত। কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে আখেরি মোনাজাতে। তাই ইবাদত, বন্দেগি আর সম্মিলিত দোয়ার জন্য এই ৩ দিনের অপেক্ষায় তারা প্রহর গুনছেন। তারাও সহযোগিতা করছেন মাঠ প্রস্তুতে।

জোড় ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে মাদরাসার ছাত্র ও তাবলিগী সাথীরা যৌথভাবে কাজ করছেন বলে জানা যায়। আকুয়া মারকাজের দায়িত্বশীলরা জানান, যেভাবে কাজের অগ্রগতি চলছে এভাবে আর দুইদিন কাজ করলে আশা করছি বৃহস্পতিবার নাগাত কাজ সুসম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্‌।

তারা বলেন, বিভিন্ন জেলার সাথীরা এসে মাঠের কাজে সহযোগিতা করছেন। এছাড়া ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও তার পার্শ্ববর্তী থানাসমূহের ছোট-বড় সব মাদরাসার ছাত্ররা নিরলস পরিশ্রম করছেন।

জোড় ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা জানিয়েছেন, এখন ময়দানে বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল, খুঁটি ও মাঠের ভিতরে রাস্তার মেরামত কাজ চলছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দল বেঁধে খুঁটি, চট দিয়ে সামিয়ানা টানাচ্ছেন, বিদ্যুতের তার টানাচ্ছেন।

এদিকে, জোড়কে সামনে রেখে আকুয়া মারকাজের আশেপাশে প্রশাসনিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন করছে সার্বিক সহযোগিতা। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব ইজতিমাকে সামনে রেখে আগামি ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের আকুয়া মারকা জের নির্ধারিত জায়গায় ১৮টি জেলার আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের নিয়ে জোড় ইজতিমা অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব জেলার সাথীরা অংশ নেবে- ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাট জেলার জোড় অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর