বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

নিষিদ্ধ হচ্ছে হাকিমপুরী জর্দা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হাকিমপুরী জর্দায় ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। দুই দফা পরীক্ষা করে এসব পাওয়া যায়। ফলে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে হাকিমপুরী জর্দা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) জানিয়েছে, জর্দাটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে বাজার থেকে জর্দাটি তুলে নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়েরের জন্য যাচ্ছে বিএফএসএ।

প্রায় ৬০ দিন আগে বাজার থেকে ২২ ধরনের জর্দা, খয়ের ও গুলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে সরকারী এ সংস্থাটি। ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া যায় এ জর্দায়।

এ বিষয়ে বিএফএসএর চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, ‘আমরা একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তাদের (হাকিমপুরী) কারখানা থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্ট করি। তবে তার ফলাফলও আগের মতই খারাপ এসেছে।’

হাকিমপুরী জর্দার মালিক বিএফএসএকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিএফএসএ’র এক কর্মকর্তা।

এর আগে গেল ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে বিএফএসএ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২২টি নমুনায় ল্যাব পরীক্ষায় প্রতি কিলোগ্রামে দশমিক ২ মিলিগ্রাম থেকে ১১ দশমিক ২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেখানে বাজারের জনপ্রিয় হাকিমপুরী জর্দার প্রতি কেজিতে দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম সিসা, দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যাডমিয়াম এবং ১ দশমিক ৬৫ মিলিগ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়।

তবে হামিকপুরী জর্দায় কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই দাবি করেন এর স্বত্ত্বাধীকারী হাজি মো. কাউছ মিয়া।

উল্লেখ্য, প্রথমবার পরীক্ষা করে হাকিমপুরীসহ মোট ১৩ প্রতিষ্ঠানের জর্দা, ছয় প্রতিষ্ঠানের খয়ের ও তিন প্রতিষ্ঠানের গুলের নমুনা পরীক্ষা করে ক্ষতিকর এসব ভারী ধাতু পায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা করা পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল গিলা খয়ের, তীর মার্কা খয়ের, মালাই খয়ের, অন্তরা খয়ের, কালো পাথর বাল্ক খয়ের, সাদা বাল্ক খয়ের, ঈগল গুল, মোস্তফা গুল, শাহজাদা গুল, রতন জর্দা, হাকিমপুরী জর্দা, গুরুদেব জর্দা, শাহজাদী জর্দা (নির্মল), মহিউদ্দিন জর্দা, ঢাকা জর্দা, মকিমপুর জর্দা, শাহি হীরা জর্দা, জাফরানী জর্দা, শাহজাদী জর্দা (আলম), বউ শাহজাদী জর্দা এবং চাঁদপুরী জর্দা।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ