শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রামাণের চেষ্টা সু চির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে দাবি করেছেন, সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলা করতেই রাখাইনে শুদ্ধি অভিযান চালোনা হয় কোনো নির্দিষ্ট জাতি নির্মূলের উদ্দেশ্যে নয়।

তিনি আরো বলেন, সেনাসদস্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকলে তা মিয়ানমারের দেশীয় তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি করা হবে। এটিকে আর্ন্তজাতিকীকরণের সুযোগ নেই। ১৯৪৮-এর গণহত্যা সনদ এখানে প্রযোজ্য নয় বলেও দাবি করেন সু চি।

হেগের পিস প্যালেসে গণহত্যার অভিযোগ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বায়ির মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে। বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানা যায়।

মিয়ানমারের পক্ষে অভিযোগ খণ্ডনের শুরুতেই বক্তব্যে দেন অং সান সু চি। এসময় তিনি আরাকানে মুসলমানদের ইতিহাস বর্ণনা করে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে অভ্যন্তরীণ সংঘাত বলে উল্লেখ করেন।

তাদের দেশে কয়েকশো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পরে দাবি করে তিনি বলেন, এসব ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। মামলার শুনানীতে মিয়ানমারের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন বিপুল সংখ্যা বাস্তুচ্যুতের ঘটনা প্রমান করে না রাখাইনে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

একই সাথে তারা এও দাবী করেন, গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সনদ ভঙ্গের যে অভিযোগ আইসিজেতে এনেছে তা প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে বাদী পক্ষ।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের অং সান সু চি বলেন, গাম্বিয়া আদালতের সামনে যে তথ্য তুলে ধরেছে, দুর্ভাগ্যবশত তা অর্ধসত্য এবং বিভ্রান্তিকর।

জঙ্গিদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের একপর্যায়ে হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল। মিয়ানমারও তাই করেছে। সেসময় সাধারণ মানুষ আর জঙ্গিদের মধ্যে পার্থক্য করার কোন সুযোগ ছিল না।

তিনি আরো বলেন, এ-ও মানছি, সংঘর্ষের কারণে অনেক বেসামরিক সম্পদ, বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা যায় নি। কিন্তু এখানে সরকারি কোন কমকর্তা জড়িত ছিল না।

বিদ্রোহ দমনের সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের উদ্দেশ্য বিচার করার সময় আপনাদের অবশ্যই, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং এ বিষয়ক জটিল পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায়, গণহত্যার উদ্দেশ্যকেই একমাত্র সত্য বলে ধরে নেয়াটা উচিত হবে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর