আওয়ার ইসলাম: নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আসামে ২জনসহ নিহত হয়েছে চার জন।
ব্যাপক এই বিক্ষোভ-সংঘর্ষের ঘটনায় গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছে মেঘালয়। শিলং এর কিছু অংশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশের আগে থেকেই বিক্ষুদ্ধ ছিল আসাম।
গত বুধবারও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোঁড়ে পুলিশ। সংঘাতপূর্ণ ৪টি এলাকায় মোতায়েন হয় সেনাবাহিনী। গুয়াহাটিতে বলবৎ ছিল কারফিউ। রাজ্যের অন্তত ১০ জেলায় বন্ধ মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সেবা।
গতকাল বৃহস্পতিবারও কারফিউ ভেঙে সড়কে নামেন প্রতিবাদী হাজারও মানুষ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটে হতাহতের ঘটনা।
বিক্ষোভকারীদের হামলার আহত হয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোয়াল ও ইউনিয়ন মিনিস্টার রামেওয়ার তেলিসহ বেশ কজন শীর্ষ রাজনীতিক।
গুয়াহাটির পুলিশ প্রধান দ্বীপক কুমারকে সরিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মুন্না প্রসাদ গুপ্তকে। ধারণা করা হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়েই এই রদবদল।
গুয়াহাটির বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলির সঙ্গে দেখা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। এসময় ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানানো হলে ভারতীয় হাই কমিশনা জানান, এরই মধ্যে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসামের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তাদের অধিকার কেড়ে নেয়া হবে না। বুধবার রাজ্যসভায় অনুমোদন পায় নাগরিকত্ব বিল। এখন রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলেই এটি আইনে পরিণত হবে।
এদিকে, গতকাল বুধবার সাহরানপুরের বিক্ষোভ থেকে প্রায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল দেওবন্দের দুই শিক্ষার্থী। বুধবার মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদনের প্রতিবাদে শতাধিক ছাত্র বেরিয়ে আসে রাস্তায়।
-এটি