শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


রিভিউ পিটিশন খারিজের পর যা বললেন মাওলানা আরশাদ মাদানী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের ঐতিহাসিক বারবি মসজিদ বিরোধ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর করা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির করা পুনর্বিবেচনার সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এরই মধ্য দিয়ে  ভারতীয় মুসলিমদের মনে বাবরি মসজিদ ফিরে পাওয়ার শেষ আশাটুকুও নিভে গেল।

পিটিশন খারিজের পর বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, আমরা আপসোসের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আমরা জানি, সব পিটিশনেই খারিজ হয় না। কোনো কোনো পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। যেহেতু এ মামলাটির শুরু শেষ আদালত ভিন্নভাবে দেখছে, তাই আমাদের পিটিশন  খারিজ করে দিয়েছে।

তারা এটাও মানে যে, মসজিদের জায়গায় মন্দির তৈরি করা হয়েছে, কারণ আমাদের শক্তিশালী দলিল প্রমাণ আছে। আদালত এটাও মেনে নিয়েছে, মসজিদে মূর্তি রেখেছে সে দোষী, যে মসজিদ ভেঙ্গেছে তারাও দোষী, এরপরও আদলত একটি মতাদর্শকে সম্মান জানাতে এ ফায়সালা দিয়েছে। সারা দুনিয়া এ রায়ের ব্যাপারে বলছে , এ রায় আইনের উপর দাঁড়িয়ে দেয়া হয়নি বরং এ রায় দেশের একটি জাতিগত আদর্শকে শক্তিশালী করতে দেয়া হয়েছে।

আমরা এতকিছুর পরও আইনের উপর আশাবাদী, এ বিষয়টি তারা দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে। পিটিশন খারিজ করা দু:খজনক, তারপরও আমাদের দেশ আমাদের আদালত, আমাদের সুপ্রিমকোর্ট, আমরা আশা করি বিষয়টি আবারো ভেবে দেখবে উচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চের চেম্বার বাবরি মসজিদ ইস্যুতে আদালতে উত্থাপিত সব আবেদন খারিজ করা হয়। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পড়ে ১৮টি।

আবেদনকারীদের মধ্যে মূল মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ৯টি আবেদন পড়ে। আর ৯টি আবেদন করে ৪০ মানবাধিকারকর্মীর তৃতীয়পক্ষ। মামলার মূল দুই পক্ষ হলো অল ইন্ডিয়া মুসলিমস পারসোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) ও নির্মোহি আখড়া।

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর এর পরিবর্তে অযোধ্যার যেকোনও স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ