আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের জাতীয় সংসদের জরুরি অধিবেশনে লিবিয়ায় সেনা প্রেরণের বিষয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) এই ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। তুরস্কের আইন প্রণেতারা আশা করছেন এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হবে।
এতে লিবিয়ায় সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা বাড়বে এমন আশঙ্কার পরেও এক বছরের জন্যে লিবিয়ায় তুরস্কের সৈন্য অবস্থানের জন্যে প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
তুরস্কের রাজধানী ত্রিপোলী জাতিসংঘ সমর্থীত সরকারী বাহিনীর সমর্থনে এই সৈন্য প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের এরদোয়ান সরকার।
এদিকে তুর্কি সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবকে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্টের স্পিকার আগুইলা সালেহ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাদের বিভক্তির সুযোগ নিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তুরস্ক ও রাশিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লিবিয়ায় সম্পৃক্ত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধের জন্য লিবিয়ায় সেনা পাঠানো উচিৎ হবে না আঙ্কারার।
সম্প্রতি লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার ও তুরস্কের মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুতে দুটি চুক্তি সই হয়। চুক্তির বাইরে সরকারকে সহযোগিতার জন্য সামরিক বাহিনী পাঠানোরও প্রস্তাব দেয় আঙ্কারা।
২০১১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটের অভিযানে নিহত হন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তারপর থেকেই গৃহযুদ্ধ লিপ্ত দেশটির বিভিন্নগোষ্ঠী।
আরএম/