বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


একাধিক মসজিদের আজান শুনলে কোনটার জবাব দিবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজান আরবি শব্দ। أَذَان‎‎ (অথবা আজান হিসেবে উচ্চারণ করা হয় যেমন: আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, এবং তুর্কমেনিস্তান, ইজান হিসেবে উচ্চারণ করা হয় তুরস্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, উজবেকিস্তান আজান হিসেবে উচ্চারণ করা হয়।

মুয়াজ্জিন কর্তৃক প্রার্থনার উদ্দেশ্য দিনের নির্ধারিত সময়ে ৫ বার আহবান করাকে আজান বলা হয়। সংজ্ঞা: ‘আজান’ অর্থ, ঘোষণা ধ্বনি (الإعلام)।

পারিভাষিক অর্থ, শরীআত নির্ধারিত আরবি বাক্য সমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতে আহবান করাকে ‘আজান’ বলা হয়। ১ম হিজরী সনে আযানের প্রচলন হয়।ʾ

আজান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা,আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হল অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি বুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হল ‘শোনা’।

পবিত্র কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে أذان শব্দটি এসেছে। এর মহাত্ম্য হচ্ছে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।

প্রশ্ন: অনেক সময় একই সাথে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে, সে ক্ষেত্রে কখনো দেখা যায় কোন মসজিদের আজান প্রায় শেষের দিকে আবার কোন মসজিদের আজান শুরুর দিকে, এক্ষেত্রে কোনটার জবাব দিব আমরা?

জবাব: একই সাথে যদি বিভিন্ন মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে, তখন শুধুমাত্র মহল্লার মসজিদের আজানের নিয়তে জবাব দিলে যথেষ্ট হয়ে যাবে, আর যদি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আজান হতে থাকে, তখন সে ক্ষেত্রে প্রথম আজানের জবাব দেওয়াই উত্তম, চাই সেটা মহল্লার মসজিদ হোক বা না হোক।

সূত্র: রদ্দুল মুহতার ১/৩৯৬ মাকতাবায়ে আশরাফিয়া। আহসানুল ফতোয়া ২/২৯২ মাকতাবায়ে থানবী। ফতোয়ায়ে আলমগীরী ১/৫৭ মাকতাবায়ে জাকারিয়া। মুফতি জিয়াউদ্দিন গালিব।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ