আবদুল্লাহ তামিম।।
ইরানের নিহত সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির জানাজায় রাজধানী তেহরানের রাস্তায় লক্ষ জনতার ঢল নেমে আসে।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত এ নামাজের সময় সর্বোচ্চ নেতাদের চোখে পানি দেখা যায়। মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ সব শহিদের নামাজে জানাজার ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। সোলেইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান এবং রোববার তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
৬২ বছর বয়সি সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানের প্রধান ছিলেন এবং যাকে যুক্তরাষ্ট্র একজন সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখতো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর ‘আসন্ন এবং ভয়াবহ হামলার ষড়যন্ত্র’ করছিলেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা যায়, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।
সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে। তিনি আরো বলে, পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
সোমবারের জানাজার পর, জেনারেলের মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে। তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রূহানি বলেন, আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে।
সূত্র: ইরনা নিউজ, পার্সটুডে
-এটি