শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

জীবদ্দশায় বা মরণোত্তর দেহ-অঙ্গ দান, ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী আবু তাহের মিসবাহ।।

জিজ্ঞাসা: জীবদ্দশায় বা মরণোত্তর নিজের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অন্যকে দেয়া জায়েজ আছে কি?

উত্তর: ইসলামি শরিয়তে মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মালিক সে নিজে নয়। এর মালিক আল্লাহ তায়ালা। সে জন্য কারো জন্যই নিজের রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রয় করা জায়েজ নয়। রক্ত দান করা যায়, এটা জায়েজ আছে। কিন্তু বিক্রয় করা হারাম। চক্ষু বা অন্যান্য অঙ্গ দান সাধারণত জায়েজ নয়।

কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুই মানুষের শেষ নয়। এরপরও তার পুনরুত্থান ও পরকালীন জীবন আছে। তাছাড়া মৃত ব্যক্তির প্রচ্ছন্ন একটি অনুভূতি শক্তিও থাকে। সে আশেপাশের লোকজনকে বুঝতে পারে। শরিয়ত বিরোধী কাজ, বেপর্দা, সীমাতিরিক্ত বিলাপ, কান্নাকাটি তাকে কষ্ট দেয়। জোরে নড়াচড়া, অধিক ঠাণ্ডা বা অধিক গরম পানি ব্যবহারে তার কষ্ট হয়। জানাজা নিয়ে বেশি ছুটাছুটি, ঝাঁকুনি ও আঘাত সে অনুভব করে। কবর থেকে লোকজন চলে যাওয়ার সময় সে পায়ের আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পায়।

এমন একজন মৃত ব্যক্তির সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যদি সে দান করে যায় আর মৃত্যুর পরই ছয় ঘন্টার মধ্যে ডাক্তার এসে তার চোখ খুলে নেয়, হার্ট খুলে নেয়, লিভার খুলে নেয়, তাতে মৃত ব্যক্তির কী পরিমাণ কষ্ট হবে, তার বলার অপেক্ষা রাখেনা। উন্নত বিশ্বে এখন শরীরের ভেতর বাহিরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গই ব্যবহার যোগ্য।

এমতাবস্থায় শরীরের সব অঙ্গ খুলে নিয়ে গেলে দাফন করা হবে কাকে? এ অবস্থাটি মৃত ব্যক্তির জন্য কী পরিমাণ কষ্টের হবে? আর তার স্ত্রী পুত্র কন্যা ও সকল আত্মীয়ের জন্য কতটুকু বেদনার হবে তা ভেবে দেখা দরকার। এ জন্যই শরিয়ত এসব দান সমর্থন করে না। একান্ত ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো মাসআলা যদি সামনে আসে তাহলে সবদিক বিবেচনা করে মুফতিগণ সুনির্দিষ্ট ফতোয়া দিতে পারেন।

সূত্র: সূরা বাকারাহ ২৬০ আয়াত, সূরা বনী ইসরাইল ৪৯,৯৮। জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিকহ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

উত্তর দিয়েছেন, মুফতী আবু তাহের মিসবাহ, প্রধান মুফতী, ফতোয়া বিভাগ, মাদানি ইসলামিক ইন্সটিটিউট, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ