ওমর আলফারুক।।
ইরানের রাজধানী তেহরানে প্রায় দশ লাখ লোকের শোকমিছিলের পরে জেনারেল কাসেম সুলেইমানিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার হোম টাউন কেরমানে। লোক সমাগমে মানুষের ভিড়ে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন।
ইরানি টেলিভিশনের বরাতে ডন নিউজ জানায়, লক্ষ লক্ষ লোকের এ শোকমিছিলে মানুষের ভীরে পদদলিত হয়ে ৩৫ জন নিহত এবং আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক,। গত শুক্রবারে আমেরিকা কর্তৃক ড্রোন হামলায় নিহত কাসেম সুলেমানির মৃত দেহ তার নিজ শহরে পৌঁছেছে আজ।
মৃত্যু পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
কাসেম সুলেমানির মৃত্যু পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্য এখন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে তুমুল উত্তপ্ত। এই হত্যাকাণ্ডে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের উষ্ণতা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ৫২ স্থানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন, এর জবাবে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানিদের কখনোই হুমকি দেবেন না, এসব তারা তোয়াক্কা করে না। গতকাল সোমবার এক টুইট বার্তায় এমন কথা বলে ট্রাম্পের হুমকির জাবাব দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা ৫২ স্থানে হামলা করার কথা বলছেন, তাদের ২৯০ সংখ্যাটাও মনে রাখা উচিত। ১৯৮৮ সালে ইরানি একটি বিমানকে মার্কিন রণতরী থেকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়, যাতে ২৯০ জন মানুষ নিহত হয়। এই সংখ্যা উল্লেখ করার মাধ্যমে কার্যত ট্রাম্পকে পরোক্ষ পাল্টা হুমকিই দিলেন রুহানি। এতে বুঝা যাচ্ছে যুদ্ধে প্রস্তুত দু’দেশই।
গত শনিবার এক টুইট বার্তায় ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস জিম্মি করে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে ৪৪৪ দিন বন্দি রাখা হয়। ওই সংখ্যা স্মরণ করে আক্রান্ত হলে ইরানের ৫২ স্থানকে হামলা করার হুমকি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলায়মানিসহ ৫ জনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ার শীর্ষ কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসও ছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইরাত-যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।
ডন থেকে ওমর আলফারুকের অনুবাদ
-এটি