শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ধর্ষককে 'ক্রসফয়ারের' দাবি সংসদে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশে শিশু, নারী ও প্রতিবন্ধীরা ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে সাংসদরা এক জোট হয়ে বলেছেন, এই পৃথিবীতে ধর্ষকদের থাকার কোনো অধিকার নেই। কেউ কেউ তাদের ক্রসফায়ারের দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রথমেই আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন- কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ বিষয়ে যদি আজ আমরা গুরুত্ব না দেই তাহলে জাতির সামনে আমরা কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না। কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলো। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি ব্যবস্থায় ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরে জনগণ এখনো বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না। এ ঘটনার পরেই সাভারে একজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধামরাইতেও একই ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ধর্ষণ হচ্ছে, ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে, এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য প্রয়োজনে সংসদের যে কোনো একটি দিন সময় নির্ধারণ করে, সংসদ স্থগিত করে দুই ঘণ্টা আলোচনার জন্য সুযোগ দিতে পারেন।

ধর্ষণের কারণে নারী সমাজ আতঙ্কিত ও চিন্তিত। গণমাধ্যমে খবর এসেছে ২০১৯ সাল যেন ধর্ষণের মহাসাগর। পুলিশের অপরাধ সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গেল বছর ১৭ হাজার ৯৯৯টি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে।

তার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫ হাজার ৪শ জন। ১৮৫ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের সময় ২৬ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। ১৮৩১ জন নারীর মৃত্যু ধর্ষণের পরে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১৪ জন শিশু। গেল বছর সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

সংসদে বলা হয়, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামালে সারাদেশে অ্যাসিড নিক্ষেপ বেড়েছিল। সমানে দেখা যেত কোনো ঘটনা ঘটলেই নারীরা অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার। তখন এরশাদের সরকার ওটাকে প্রতিরোধ করার জন্য অ্যাসিড নিক্ষেপ প্রমাণ হলে আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল।

এখন সরকারের কাছে আবেদন জানাব যে হারে ধর্ষণ বেড়েছে, তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সময় এসেছে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ধর্ষণের দায়ে (যদি প্রমাণ হয়) তার সাজা যাবজ্জীন কারাদণ্ড না দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ