বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের মামলা করার পরিকল্পনা করছে ইরান। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনায়  তার বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন তেহরানের শীর্ষ বিচারিক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসলাইলি। তিনি বলেন, ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হবে। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনী পিএমইউ-এর ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদী আল মুহান্দিসকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা।

মঙ্গলবার তেহরানে সংবাদ সম্মেলনে তেহরানের শীর্ষ বিচারিক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসলাইলি বলেন, জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদী আল মুহান্দিসকে হত্যা করে নিঃসন্দেহে মার্কিন সেনারা সন্ত্রাসী কাজ করেছে। আর ট্রাম্প এই অপরাধের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র আইসিসি সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে মার্কিন শত্রুরা এই আদালত ব্যবহার করে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায়। ওই আদালতে ইরানের দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে। অন্তত একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই মামলায় ইরান জিতে যেতে পারে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এক দূত বলেছেন, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা না হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্রদের জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধেও রুল দিতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ন্যাটো কর্মকর্তা মনে করেন, এই মুহূর্তে ইরানের বৃহত্তর পরিকল্পনা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা। তিনি বলেন, আমার ধারণা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কারণে ইরান আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করবে না তবে মামলা যদি সত্যিই হয়ে যায় তাহলে আমেরিকার বিরুদ্ধে মামলাটি সত্যিকার অর্থেই জোরালো।

ওই ন্যাটো কর্মকর্তা আরও বলেন, সোলাইমানি হত্যার যে কারণ বিশেষত ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন তা সম্ভবত অবৈধ। তার চেয়ে শক্ত কোনও কারণ কি আমেরিকানদের কাছে আছে? আমার ধারণা হয়তো আছে, তবে হেগের আদালতে সেসব নিয়ে তাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ইরান প্রকাশ্য বিবৃতি হিসেবে যেগুলো আদালতে উপস্থাপন করবে তাই প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

-ওএএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ