আওয়ার ইসলাম: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মুহা. আব্দুল্লাহ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট বাঙালি জাতি চিরঋণী। তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, দিয়েছেন মুক্তি। বিভিন্নভাবে জাতি তার নিকট ঋণী। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের মাত্র চার মাস পূর্বে ১৯৭৫ সালে ২২ মার্চ তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতির পিতা যে উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন তা অর্জনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট হবো।
আজ সোমবার বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রাক্তন সচিবের বিদায় ও নবনিযুক্ত সচিবের শুভাগমন উপলক্ষে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম অবহিতকরণ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এখানকার কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা, প্রাণচাঞ্চল্য সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধু এই প্রতিষ্ঠানকে অনেকদূর নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে স্থবিরতা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য প্রতিমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মুহা. আনিছুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা এবং নবনিযুক্ত সচিব মুহা. নূরুল ইসলামকে বরণ করে নেয়া হয়। সভা চলাকালীন সময়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বর্তমানে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহা. আনিছুর রহমান সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় সংবাদ আসায় তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এবং বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে বিশ্বমানের হজ্ব ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করা। ভবিষ্যতে তা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সরকারি পর্যায়ে হজ্জযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
ধর্মসচিব মুহা. নূরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন সেই লক্ষ্যকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবে রূপ দিবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন- মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম, যাকাত বিভাগের পরিচালক মাহবুব আলম, মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, লাইব্রেরীর পরিচালক শফিকুর রহমান তালুকদার, উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক মুহা. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল হাই মোল্লা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মু: আ: হামিদ জমাদ্দার সংক্ষিপ্তভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ও কার্যপরিধি উপস্থাপন করেন।
-এএ
