শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুই ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দুই ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছি। একটি হচ্ছে- ভাইরাসটি যাতে কোনোভাবেই দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। আর এই ভাইরাস বহনকারী কেউ যদি দেশে প্রবেশ করেই ফেলে, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ড খুলেছি।

আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ভয়ের কোনও কারণ নেই। আশা করছি, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ড স্ক্যানার সরবরাহ করেছি। বিমানবন্দরে বেশি নজর রাখা হচ্ছে। চীন থেকে যারা আসছেন, তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। ১৪ দিন পর্যন্ত এই পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। কারণ, ভাইরাসটি আক্রমণ করলে উপসর্গ দেখা দেয় ১৪ দিন পর।

বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করেন। তারা যেখানে থাকেন, সেখানে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে বেশি নজরদারি রাখছি বিমানবন্দরে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের উহানে ৩০০ ছাত্র রয়েছে। তারা কেউ আক্রান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্ররা আসতে চাইলে নিয়ে আসা হবে। তবে চীন সরকার আপাতত কাউকে আসতে দেবে না। তাদেরকে ১৪ দিন পর আনতে দেবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারিতে এই ১৪ দিন শেষ হবে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে এর প্রকোপ কমে আসবে।

চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি। চীন বা পৃথিবীর কোনো দেশও এটা করেনি। তবে চীনে কাউকে অপ্রয়োজনে যাওয়া-আসাটা না করাই ভালো। এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যখন নির্দেশ দেবে তখন আমরাও ব্যবস্থা নেবো।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ