বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি

শিশু জিহাদের মৃত্যু: হাইকোর্টে ৪ আসামি খালাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঢাকার শাহজাহানপুরে রেলের পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ৪ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি মুহা. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পানির পাম্প বসানোর প্রকল্প পরিচালক রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মুহা. নাসির উদ্দিন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএসআরের মালিক প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ও ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর আহমেদ শাকির।

২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ মামলায় অবহেলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেন।

আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এম সারোয়ার আহমেদ, এম আলী মর্তুজা এসএম শাহজাহান ও আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন আসামিদের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহা. আমিনুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন।

নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চারজনকে দশ বছরে করে কারাদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের দেয়া রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। রেলওয়ে ম্যানুয়াল অনুসারে পুরোনো ওই পাইপ রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের (তিন) দায়-দায়িত্ব নেই। ওই ঘটনা অবহেলাজনিত নয় বরং দুর্ঘটনা।

‘এ ছাড়া যে আইনে সাজা দেয়া হয়েছে, তাও যথাযথ হয়নি। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দশ লাখ টাকা করে বিশ লাখ টাকা শিশুটির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট চারজনের আপিল মঞ্জুর করে ওই রায় দেন। ফলে চারজন খালাস পেলেন’।

জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী সারোওয়ার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পর তিন প্রকৌশলী চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকলে তারা চাকরি ফিরে পাবেন।

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আপিল করার পর থেকে ওই চারজনই জামিন ছিলেন। আদালত তাদের খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে বাসার পাশে পরিত্যক্ত পানির পাম্পের কাছে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পাম্পের একটি পরিত্যক্ত দেড় ফুট ব্যাসের গভীর পাইপে পড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানেও জিহাদকে উদ্ধার করতে পারেনি।

পরদিন বেলা তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর একদল উদ্যমী তরুণের চেষ্টায় শিশু জিহাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা ও বিপজ্জনকভাবে গভীর পাইপের মুখ খোলা রাখার অভিযোগ আনা হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ