আওয়ার ইসলাম: এ বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯৮ নারী ও শিশু। এই সংখ্যা গত বছর ছিল ৭৪। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে, প্রতি বছরই বাড়ছে নারী-শিশু ধর্ষণ ও হত্যা।
এবছরটা শুরুই হয় ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হলে ফুঁসে ওঠে সারা দেশ। তারপরও থামেনি ধর্ষণের ঘটনা। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কদমতলী ও বাড্ডায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪ কিশোরী।
আসকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির ১০ দিনেই ১০৮ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর বাড়ছে ধর্ষণের সংখ্যা। ২০১৮ সালে ঘটেছে ৭৩২টি, ২০১৯ সালে ১৪১৩।
অপরাধ ও সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ধর্ষণের বিচার হতে হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। আর ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমস্যা সমাধানে নারীর প্রতি মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অবস্থান নিতে হবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণ বন্ধে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারবিভাগ সব ক্ষেত্রেই সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
-এটি