বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


দেশের রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিক শূন্যতায় পরিণত হয়েছে: মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়ে রাজনৈতিক শূন্যতায় পরিণত হয়েছে। ভোটের অধিকার ভুলুণ্ঠিত। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চলছে চরম অরাজকতা। রাজনৈতক অঙ্গণে বিরাজমান এ চরম সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বর্তমান একদলীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিজয়নগরের সীগাল রেস্টুরেন্টে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তেব্যে তিনি বলেন, দেশ প্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের ঐক্য ও ঐক্যবদ্ধ সফল আন্দোলনই পারে বিরাজমান সংকটের মূলোৎপাটন করে কাঙ্খিত মুক্তির পথ রচনা করতে।

মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, মাওলানা তোফাজ্জ্বল হোসাইন মিয়াজী।

প্রশিক্ষন সম্পাদক- অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মুহা. আব্দুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, মাওলানা শামসুজ্জামান চেীধুরী, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল আলম আল মামুন, বুরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা আইউব আলী, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাওলানা খুরশীদ আলম, প্রভাষক মুহা. আব্দুল করিম, অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব আলম, মুফতি সাইয়্যেদুর রহামন, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা আব্দুল হাই প্রমুখ।

অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবসহ ৮টি প্রস্তাব গ্রহীত হয়। যেসব প্রস্তাব গ্রহীত হয়- রাজনৈতিক সংকট ও স্থবিরতা। পেশী শক্তির মহড়া ও অনিয়মের ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম-এ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি। অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন। শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন পরিস্থিতি। ভারতের সাম্প্রদায়িক এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন।

এছাড়াও অধিবেশনে সারাদেশের ৪৮টি জেলা-মহানগরী শাখার কাজের বার্ষিক রিপোর্ট পর্যালোচনা হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ