শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


মাহফিলের নীতিমালা চাইলেন মাইজভান্ডারী, যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। কিন্তু ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে বিশ্বের কাছে পবিত্র এই ধর্মটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে ইসলাম ধর্মের মধ্যে ভাগ, কে ভাল কে খারাপ, কে প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাসী কে বিশ্বাসী নয়, কে সঠিভাবে ধর্ম পালন করে কে করে না, কে বেহেশেতে যাবে কে যাবে না- তার বিচার তো আল্লাহই করবেন? তার বান্দারা কেন এই বিচার করবেন? কে ভাল মুসলমান, কে মুসলমান নয়- তার বিচার করার ভার আল্লাহ তো কারো হাতে দেননি।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক প্রশ্নের জবাব দেন এসব কথধা বলেন তিনি।

তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কারো ধর্মে আঘাত দিয়ে কথা বলা, অন্য ধর্মবলাম্বীদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা যাবে না। যার ধর্ম সেই পালন করবে। কোরআনেও আল্লাহ বলে দিয়েছেন যার যার ধর্ম তার তার কাছে। সেই বিশ্বাস যদি থাকে তাহলে এ দ্বন্দ্ব আর থাকে না। আর যারা সত্যিকারের ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন- যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ দিতে হবে। অন্য ধর্মাবলাম্বীরা যেন আঘাত না পায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এর আগে, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জাতীয় সংসদে বলেন, আলেম-ওলামারা এখন চারভাগে বিভক্ত। একদল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, একদল তরিকতপন্থী, একপক্ষ হেফাজতের পক্ষ, একপক্ষ এখন জামাতি পক্ষ, আরেক পক্ষ আহলে হাদিস পক্ষ। এরা সবাই মনে করছে সবারটা সত্য। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে একটা নীতিমালা দরকার যে যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে না। কুরআন-সুন্নাহকে আঘাত করে, আল্লাহর নবীকে আঘাত করে যা খুশি তাই বলা যাবে না। যেটা আইনে আছে, প্রচলিত আইনে কাজ হচ্ছে না, এ কারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। সবচে’ ভালো হয়, আমরা বাহাসের ডাক দিয়েছি, ঈদগাহ ময়দানে আমরা রাজি আছি বসতে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ