বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


নতুন তথ্য: যুক্তরাষ্ট্র থেকেই শুরু করোনাভাইরাস!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জাপনের আসাহি টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা গেছেন এমন ১৪ হাজার মানুষের মধ্যে কেউ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

সম্প্রতি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে এটি। এরপর থেকেই প্রশ্ন ওঠছে, তাহলে কি করোনাভাইরাস প্রথমে ছড়িয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে?

করোনাভাইরাসটি মার্কিন মাটিতে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হয়ে থাকতে পারে দেশটির সরকার। তবে যে মার্কিনিরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা গেছেন তারা করোনভাইরাসেই আক্রান্ত হয়েছিলেন কি-না; সেই বিষয়ে জানা যায়নি। কিন্তু চীনে এই প্রতিবেদনটি নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দিয়েছে।

চলতি মাসের ১৪ তারিখে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, শিকাগো এবং নিউইয়র্ক সিটির জনস্বাস্থ্য ল্যাবগুলোতে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা শুরু করবেন তারা। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষ করে দেখা হবে আসলেই তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না।

চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সিনা ওয়েইবোতে এই বিষয়টি নিয়ে ঝড় ওঠেছে। কেউ কেউ বলছেন যে, মার্কিনিরা এই ভাইরাস চীনের উহানে ছড়িয়েছেন।

চীনের এক নাগরিক সিনা ওয়েইবোতে লিখেছেন, গত অক্টোবরে উহানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সামরিক ওয়ার্ল্ড গেমস। মনে হয়, মার্কিন প্রতিনিধিরা করোনাভাইরাসকে উহানে নিয়ে আসেন। তারপর সেখানেই ভাইরাসে কিছু মিউটেশন ঘটেছে। এরপরই উহানে ছড়িয়ে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ধারণ করে।

সাংহাই-ভিত্তিক ফুদান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শেন ইয়ি জানান, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে বিশ্বব্যাপী ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। নেটিজেনরা সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তবে যুক্তিবাদীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

জনগণকে সত্য বিষয়ের ওপর বেশি নির্ভর করার আহ্বান জানিয়ে শেন ইয়ি বলেন, করোনভাইরাসের লক্ষণ সবার কাছে স্পষ্ট। আর এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগও। তাই আমার মনে হয়, এই রোগের উৎস গোপন করা অসম্ভব। মিডিয়ার উচিত পরিষ্কার এবং নির্ভুল পদ্ধতিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা।

জাপানের টেলিভিশনে যাই প্রচার করুক না কেন-চীনের জীব বিজ্ঞানী বোটাও জিয়াও এবং লে জিয়াও ‘দ্য পসিবল অরিজিন্স অব ২০১৯-এনসিওভি করোনাভাইরাস’ শিরোনামে একটি গবেষণা করেছেন। গবেষণায় বর্ণনা করা হয়েছে, উহানের একটি বাজার থেকে কয়েক গজ দূরের এক বিজ্ঞান গবেষণাগার থেকে এই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ