শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


প্রথমবারের মতো ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল চার তলা লঞ্চ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে আধুনিক ও বিলাসবহুল চার তলা লঞ্চ। লঞ্চটি নির্মাণ করেছে দেশের অন্যতম নৌযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানি। লঞ্চটির নাম রাখা হয়েছে সুন্দরবন-১৪।

সুন্দরবন-১৪ লঞ্চটি আধুনিক সাজসজ্জা, নির্মাণশৈলী ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে অন্য লঞ্চগুলোকে হার মানাবে বলে দাবি মালিকপক্ষের।

সমুদ্রগামী বড় জাহাজের আদলে তৈরি এ লঞ্চটিতে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে রাখা হয়েছে নানা ব্যবস্থা। ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, ওয়াইফাই সুবিধাসহ বিনোদনের নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর এ লঞ্চটিতে। এছাড়া যাত্রীদের নামাজের জন্য আলাদা স্থান ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। নিরাপত্তার জন্য পুরো নৌযানটিতে সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন কমান্ডার ও ছয়জন সশস্ত্র আনসার সদস্য লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।

নদী পথে চলাচলের জন্য শনিবার বিকেলে মিলাদ ও দোয়া-মোনাজাতের দিয়ে বিলাসবহুল লঞ্চ সুন্দরবন-১৪ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টু জানান, বিশেষজ্ঞ নৌ স্থপতির নকশায় ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্যানেল প্রকৌশলীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে বেলতলা ফেরিঘাট এলাকায় সুন্দরবন নেভিগেশন ডক ইয়ার্ডে লঞ্চটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ চলেছে দুই বছর। প্রতিদিন ১৫০ জন শ্রমিক নিরলস পরিশ্রম করে সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। ২৪১ ফুট দৈর্ঘ্যর এ নৌযানটির প্রস্থ ৩৬ ফুট। এর ২, ৩ ও ৪ তলায় ১৪১টি প্রথম শ্রেণির কক্ষ (কেবিন) রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভিআইপি, তিনটি সেমি ভিআইপি, পাঁচটি ফ্যামিলি, ৫৮টি সিঙ্গেল ও ৩৪টি ডবল কেবিন রয়েছে।

লঞ্চটির অনুমোদিত যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৬০ জন। এছাড়াও এটির চার শতাধিক টন পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। লঞ্চটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ডেকোরেশন। বর্ণিল বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা দিয়ে আলোকিত করা হয়েছে লঞ্চটিকে। লঞ্চের প্রতিটি কেবিন দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে। যা রুচিশীল যাত্রীদের জন্য লঞ্চযাত্রায় বাড়তি আনন্দ দেবে।

তিনি আরও জানান, জাপানের একটি কোম্পানির তৈরি এক হাজার ২০০ অশ্ব শক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও নৌযানটির বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি ও ভিআইপি কক্ষসহ ডেক যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিতকরণে তিনটি জেনারেটর রয়েছে। স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরও সংযোজন করা হয়েছে একটি।

ব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টু বলেন, লঞ্চটি উদ্বোধন হলেও আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এ মাসের শেষের দিকে ঢাকা থেকে বগা হয়ে পটুয়াখালী চলাচল শুরু করবে সুন্দরবন-১৪ লঞ্চটি। লঞ্চটি পটুয়াখালীবাসীর জন্য একটি চমক। এর আগে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে এ ধরনের বিলাসবহুল চার তলা লঞ্চ চলাচল করেনি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ