বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ঘরে বসে ভোট দেয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে: আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঘরে বসে ভোট দেয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে নির্বাচন কমিশনকে গবেষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল সোমবার জাতীয় ভোটার দিবসে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিবসটি উপলক্ষে সকালে মানিক মিয়া এভিউনিউয়ে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। আর বিকালে ছিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘ভোটার হয়ে ভোট দেব, দেশ গড়ায় অংশ নেব’।

তিনি বলেন, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যাতে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে ভোট দিতে পারেন এবং কোথায় তার ভোট পড়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, কারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তাদের ছবি ও আইডি নম্বরসহ অনলাইনে প্রকাশ করা যায় কি না, এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এতে ভোটারের সংখ্যা ও উপস্থিতি নিয়ে কারও মনে কোনো সংশয় থাকবে না। যিনি ভোট দেবেন, তাকে একটি কনফারমেশন স্লিপ দেয়া যায় কি না, এই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।

আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। বাংলাদেশে কেউ কেউ না জেনে ইভিএম নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন।

তারপরও ইভিএম পদ্ধতি আরও আধুনিক ও স্বচ্ছ করার জন্য ধারাবাহিক গবেষণা করতে হবে। এই পদ্ধতি আরও আধুনিক ও সার্বিক ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। অনুষ্ঠানে সিইসি কেএম নুরুল হুদা ভোটার তালিকার হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, এখন দেশে মোট ভোটার ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২ জন আর হিজড়া ভোটার ৩৬০ জন।

আলোচনা সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ভোটাররা অবারিতভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিতে পারলেই কেবল জাতীয় ভোটার দিবস পালনের উদ্দেশ্য সফল হবে।

তিনি বলেন, ভোট জনগণের পবিত্র আমানত। এই আমানত যাতে লুণ্ঠিত না হয়, সেজন্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া প্রয়োজন।

এজন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। ভোট দুই অক্ষরের ছোট শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তি অত্যন্ত বিস্তৃত, বিশাল ও ব্যাপক। তিনি বলেন, ভোট জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক ও জনগণের রক্ষাকবচ। সম্প্রতি ভোটারদের ভোটবিমুখতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করে তা প্রতিকারের চেষ্টা চালানো প্রয়োজন।

অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।

এর আগে সকালে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত না থাকার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী না। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ইসির কাজ নয়। সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

কেএম নুরুল হুদা বলেন, কেন্দ্রে ভোটার আসা কিংবা না আসা পুরোটা নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। তবে ভোটাররা যেন সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারে, সেই নিশ্চয়তা এবং ভোটারদের নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ করার জন্য ভোটার দিবস।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ভোটারদের নিজের অধিকার নিজেকেই প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। অন্য কেউ এসে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে দেবে না। শুধু এটুকু এটুকু বললেই হবে না যে, আমি ভোট দিতে গিয়েছি, ভোট দিতে পারিনি, এটা আপনার ব্যর্থতা। আপনি ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের অধিকারটা স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ