বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


বালাগঞ্জে আবারও সরকারী জলমহল শুকিয়ে মাছের বংশ নির্বংশ করার অভিযোগ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও উপজেলার ঘোরাপুর হাওরের চাতল-পাটাচাতল সরকারি জলমহল শুকিয়ে মাছের বংশ নির্বংশ করার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন থেকে প্রকাশ্য বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

৬ মার্চ (শুক্রবার) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় (ঘোরাপুর হাওর) সুইসগেইট সংলগ্ন হাওরের পারে অবৈধভাবে কয়েকটি বড় বড় পাম্প বসিয়ে কয়েকদিন থেকে চাতল-পাটাচাতল বিল প্রায় শুকিয়ে ফেলা হয়েছে। বিলের পাহারাদার সাংবাদিক আসার খবর জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে পাম্পের পাইপ খুলে ফেলে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, প্রায় ৫ দিন থেকে দিন-রাত তারা ৩টি বড় বড় পাম্প দিয়ে বিল প্রায় শুকিয়ে ফেলেছে। অপরিচিত কোন লোক দেখলে পাম্প বন্ধ করে রাখা হয়, রাতে আবার চালানো হয়।

এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জলাশয় শুকিয়ে মাছ আহরণ ও মাছের বংশ ধ্বংস করেই যাচ্ছে এক শ্রেনীর অমৎস্যজীবি মানুষ। ফলে দেশীয় মাছের বিভিন্ন প্রজাতী ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে এ জলাশয় থেকে। প্রতি বছরই জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করলে একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে আশাপাশের বোরো ফসলে পানি সেচের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

পানি শুকিয়ে মাছ ধরা এবং জলমহাল সাব-লিজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একটি মহল এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, ১৪২৬ থেকে ১৪৩২ বাংলা ৬ বছরের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর সিংরাকোনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে সরকারীভাবে লিজ নিলেও মূলত বিশ্বনাথ উপজেলার নুর উদ্দিন গং নামের একদল প্রভাবশালী একটি সংঘবদ্ধ চক্র জলমহলটি ফিশিং করছে।

এব্যাপারে বিল লীজ নেয়া নুর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তিনি বলেন, আমি জলমহাল ফিশিং এর করেছি, কিন্তু, বিলে পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরছে কে বা কারা আমি জানি না।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, সরকারি ছুটি থাকায় অফিসের স্টাফ নেই অফিস খোলার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাগঞ্জে জলমহল শুকিয়ে মাছ নিধনের সংবাদ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে কিছুদিন সেচ বন্ধ ছিল, কয়েকদিন পরে আবার শুরু হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ