শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি তওবা ইস্তিগফারের আহ্বান সমমনা ইসলামী দলগুলোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল ২৫মার্চ রাতে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও জাতীয় প্রত্যাশা বিষয়ে সমমনা ইসলামী দলসমূহের শীর্ষনেতৃবৃন্দ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি তওবা ইস্তিগফারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে তারা দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট তওবা এস্তেগফার ও বিপদমুক্তির লক্ষ্যে দোয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান ৷

জমীয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী,খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড,আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ইলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড,মাওলানা ঈসা শাহেদী ও মুসলিম লীগের মহাসচিব এ্যাডভোকেট আবুল খায়ের এ যৌথ বিবৃতি প্রেরণ করেন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আজ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই শুরু হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ৷ দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের৷ সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে জাতীয়ভাবে৷

আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকী৷ কিন্তু এবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে এমন এক পরিবেশে, যখন সারা দুনিয়া কাঁপছে নভেল করোনা নামক এক ভয়াবহ ভাইরাস আতঙ্কে৷ তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের সকল আয়োজন চলছে ভিন্ন আঙ্গিকে ৷ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

অতি স্বাভাবিক কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের সিংহভাগই ছিল উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে৷ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের অবস্থা এবং বাংলাদেশের অবস্থা কিছু জরূরী পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন তিনি৷ সংকট উত্তোরণে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ও দেশের মানুষের করণীয় বিষয়ের নির্দেশনাও ছিল বিস্তারিতভাবেই৷

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, নানা বিধিনিষেধ আর সংশ্লিষ্ট সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে চমৎকার নির্দেশনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে গেছে পূর্ণই উপেক্ষিত৷ যেখানে পৃথিবীর ক্ষমতাধর ও পরাক্রমশালী রাষ্ট্রপ্রধানরাও পরিস্থিতির ভয়াবহতায় মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধাবিত হওয়ার ও তাঁর সাহায্য প্রার্থণার জন্য জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সেখানে আমাদের মত ধর্মপ্রাণ একটি জাতির প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় দুর্যোগকালীন ভাষণে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ ও জাতির প্রতি প্রার্থণার কোনো আহ্বান শোনা যায়নি ৷ অথচ পরিস্থিতির আলোকে এটি ছিল খুবই প্রত্যাশিত।

ঐতিহাসিক এই ক্রান্তিকালে পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত জীবন গঠন, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা রোধ, ন্যায়নীতি-ইনসাফের অনুশীলন ও সর্বোতভাবে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন জাতিকে রহমতের ছায়াতলে নিয়ে যেতে পারে৷ জাতি তাদের শাসকবর্গের কাছ থেকে এমন শপথ ও নির্দেশনার আহ্বান শুনতে চায়৷

নেতৃবৃন্দ দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট তওবা এস্তেগফার ও বিপদমুক্তির লক্ষ্যে দোয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান ৷

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ