বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


অলসতা একটি রোগ ও তার থেকে প্রতিকার: মসজিদুল হারামের গত জুমার খুতবা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: শায়খ ডক্টর বান্দার বালিলা
ভাষান্তর: মুহাম্মদ ইশরাক

১২-১১-১৪৪১ হিজরি শুক্রবার মসজিদুল হারামের জুমার নামাজে প্রদত্ব খুতবার অনুবাদ  

(প্রথম খুতবা)

আল্লাহ তায়ালা অন্তর সৃষ্টি করেছেন। যেন অন্তর আল্লাহকে চিনে নেয়। তাঁর প্রতি আনুগত্য করে। তার সাথে সম্পর্ক গড়ে। কোন প্রতিবন্ধকতা অন্তরকে জিকির থেকে আড়াল করবে না। আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা গবেষণা থেকে ফিরে রেখে কোন রদকারী অন্তরকে অন্য কিছুতে মশগুল রাখবে না।

তবে কখনো কখনো এই অন্তরের জন্য বিভিন্ন রোগ ও নানান রকম পর্দা প্রকাশ পায়। সেগুলো আড়াল হয়ে দাঁড়ায় অন্তর ও এর সৃষ্টির উদ্দেশ্যের মাঝে। আর অন্তরকে নিবৃত্ত রাখে এর কাঙ্ক্ষিত অবস্থা থেকে।

এ সবকিছুর মধ্য হতে অন্তরের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ও ক্ষতিকারক জিনিস হলো গাফিলতি ও উদাসীনতার রোগ। কেননা এটি অন্তরকে ঘুমিয়ে রাখে। জিকির থেকে ফিরে রাখে। উপদেশ থেকে বিমুখ করে। এভাবে মানুষ মন চাহে জিন্দেগীর প্রতি ধাপিত হয়। নিজের কাছে অনুভব ও অনুধাবন করার অধিকৃত উপলব্ধি ও ও অনুভূতি হারিয়ে ফেলে।

এসব গাফিলতির একটি হলো দুনিয়া ও শরীয়ত সংশ্লিষ্ট আয়াতসমূহ থেকে চিন্তা গবেষণা করার উদাসীনতা। আয়াতের বাস্তবতা একের পর এক ঘটতে থাকে। অথচ অন্তর অনুভূতিশূন্য ও ঘুমন্ত। সত্যায়ন ও ইমান আনয়নের কোন প্রেরণা অন্তরে জাগ্রত হয় না। ভয় -ডর, অনয়- বিনয়, কাকুতি মিনতি কোন কিছুর দিকেই অন্তর ধাবিত হয় না।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তাদের রবের নিদর্শনাবলির থেকে যে নিদর্শনই তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছে তারা তা থেকে বিমুখ থেকেছে। (সূরা, আনআম)

গাফলতিতে নিমজ্জিত, উপদেশ থেকে বিমুখ ব্যক্তির ব্যাপারে আয়াত বর্ণিত অবস্থায় হলো বিমুখতার অবস্থা। এটা যেন সেই বৃষ্টির মত যা জমিনের উর্বরতার জন্য অবতীর্ণ হয়। কিন্তু জমিনটা হলো পাথুরে ভূমি যেখানে না কোন পানি জমতে পারে আর না তৃণলতা উৎপন্ন হতে পারে।

গাফলতির আরেক প্রকার হলো আখেরাতের ব্যাপারে উদাসীনতা। আখেরাতে সফল হতে যে চূড়ান্ত চেষ্টা প্রচেষ্টা ত্যাগ তিতিক্ষার দরকার তা থেকে বিমুখতা এবং উদাসীনদের আফসোসের দিন আগমনের পূর্বে আখেরাতের জন্য ক্ষেত প্রস্তুতির প্রতি অমনোযোগীতা ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বলেছেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। তারা তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাহ্যিকতা সম্পর্কে জ্ঞাত আর আখেরাতের বেলায় অজ্ঞ।'(সূরা,আরাফ-১১৮৭-১৮৮)।

এ সমস্ত গাফেলদের প্রাপ্তি হলো তারা কেবল দুনিয়া নিয়েই পড়ে থাকা। তাদের জ্ঞানের দৌড় এই দুনিয়ার প্রান্ত পার হয়ে অন্য কোন জগতে যেতে পারে না। তথাপি তারা কেবল দুনিয়ায় বাহ্যিক চাকচিক্যের জ্ঞান রাখে।

এর প্রকৃত অবস্থা ও নিগুঢ় তথ্যের নয়। তাই তারা দুনিয়ার মজ -মাস্তি, খেল- তামাশা ও কামনা-বাসনা সম্পর্কে অবগত এবং এর ক্ষতি- অবনতি, কষ্ট -ক্লেশ ও জটিলতা- অসুবিধা সম্পর্কে অজ্ঞ।তারা জানে এসব কিছু তাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ তারা জানে না তারা এসবের জন্য সৃষ্টি হয় নি। এগুলোর স্থিত অবস্থা এবং এসবের প্রতি আস্থাশীলতা তাদেরকে ব্যস্ত রেখেছে।তারা দুনিয়া নিঃশেষ ও বিনাশের কথা ভুলে গেছে। সুতরাং দুনিয়া যতই লম্বা হোক তবুও খাটো। যতই নন্দিত হোক তবুও নিন্দিত।

আল্লাহর বান্দারা! যখন আখেরাত এসে যাবে যার ব্যাপারে তারা উদাসীন ছিলো। তখন তাদের আফসোস প্রত্যক্ষ হবে। সেদিন আফসোস করে কোন লাভ হবে না।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার এই অবস্থা বোঝাতে বলেছেন, আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস সম্পর্কে হুশিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারে মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন তারা গাফিলতিতে আছে আর তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।(সূরা,মারয়াম,৩৯)।
এটা এমন দিন যেদিনে সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফয়সালা করা হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর তাদের একজন হতভাগা। আরেকজন সৌভাগ্যবান।(সূরা,হুদ-১০৫)।

তাদের একজন চিরস্থায়ী জান্নাতি। আরেকজন চিরস্থায়ী জাহান্নামী। জান্নাতবাসী নাজ -নেয়ামত ও আমোদ- প্রমোদে থাকবে। জাহান্নামীরা হা হুতাশ ও আফসোস -আক্ষেপে করবে।

আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'ক্বিয়ামাত দিবসে মৃত্যুকে একটি ধূসর রঙের মেষের আকারে আনা হবে। তখন একজন সম্বোধনকারী ডাক দিয়ে বলবেন, হে জান্নাতবাসী! তখন তাঁরা ঘাড়-মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। সম্বোধনকারী বলবে, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবেন হ্যাঁ, এ হলো মৃত্যু।

কেননা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর সম্বোধনকারী আবার ডেকে বলবেন, হে জাহান্নামবাসী! জাহান্নামীরা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে, তখন সম্বোধনকারী বলবে তোমরা কি একে চিন? তারা বলবে, হ্যাঁ, এ তো মৃত্যু। কেননা তারা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর (সেটিকে) জবেহ করা হবে। আর ঘোষক বলবেন, হে জান্নাতবাসী! স্থায়ীভাবে জান্নাতে থাকো।

তোমাদের আর কোন মৃত্যু নেই। আর হে জাহান্নামবাসী! চিরদিন জাহান্নামে থাকো। তোমাদের আর মৃত্যু নেই। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তেলাওয়াত করলেন, তাদের সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিবস সম্বন্ধে, যখন সকল ফয়সালা হয়ে যাবে অথচ এখন তারা গাফিল, তারা অসতর্ক দুনিয়াবাসী-অবিশ্বাসী।(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)

এই গাফলতিগুলো দূর করার পদ্ধতি হলো দুনিয়ায় অবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি লাভ করা এবং এগুলোকে যথাপোযুক্ত স্থানে প্রয়োগ করা। দুনিয়ায় মধ্য নিমজ্জিত না হওয়া। দূনিয়ার মুহাব্বত দিলকে এমনভাবে কবজা করে না ফেলা যে আখেরাতের ব্যাপারে গাফলতি এসে যায়। কেননা দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতিনের মত।

একজন যে পরিমাণ খুশি হয়। অপরজন সে পরিমাণিই অখুশি থাকে। একটির সাথে যতটুকু সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অপরটির সাথে ততটুকু সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আখেরাতকে চূড়ান্ত লক্ষ্য মনে করে দুনিয়াকে এর উপলক্ষ বানানোই হলো এ গাফলতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ। এই আলোকে দুনিয়া আখেরাতের জন্য ক্ষেত এবং চাষাবাদের উর্বর ভূমি।

গাফিলতির আরেক প্রকার হলো অতীত জাতিসমূহের অবস্থা ও পরিণতি থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ না করা। এ যাবত কত বেশি ইবরত ও শিক্ষা গত হলো!

আর এ থেকে আমরা কত কম শিক্ষা নেলাম! অথচ এগুলোর দ্বারা উদ্দেশ্য একমাত্র শিক্ষা গ্রহণই ছিলো। সেগুলো শুধু ইতিহাসের কোন ঘটনা ছিল না যে উদাসীন হয়ে আমরা শুধু সেগুলোই নজর বুলিয়ে চলে যাবো। সেগুলো কোন গালগল্পও ছিলো না। যা শুধু আনন্দ ও অবসরের গল্প বলে গুরুত্ব দেব না।

কখনই নয়। আল্লাহর কসম এগুলো সে ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত তথ্য বিবরণিকা যিনি সজাগ হৃদয়ের অধিকারী এবং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণকারী।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তাদের ঘটনাবলীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ, রহমত ও হেদায়েত। (সূরা,ইউসুফ -১১১)

হে মুসলমান ভাইয়েরা! আল্লাহর জিকির থেকে উদাসীনতাই সবচেয়ে বড় গাফলতি। এটি অন্যসব গাফলতিকে ছাড়িয়ে অবস্থান করে। এটি সবধরনের বিচ্ছিন্নতা, ধ্বংস ও বিনাশকে পরিবেষ্টনকারী।

একারণে আল্লাহ তায়ালা নবীজিকে জিকিরের আদেশ দিয়েছেন এবং এ থেকে গাফলতি করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অনুচ্চস্বরে সকালে ও সন্ধ্যায়। আর গাফেলদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।'(সূরা আরাফ,২০৫)

তাই আল্লাহ তায়ালা জিকির ত্যাগকারীকে গাফেল হিসেবে গণ্য করলেন। এ রোগগুলো থেকে মুক্তির উপায় হলো সবসময় আল্লাহর জিকির এবং এতে মোজাহাদা করা। কেননা জিকির অন্তরকে ঘুম থেকে সতর্ক করে। আর তন্দ্রা থেকে জাগ্রত করে। অন্তর যখন ঘুমে পড়ে তখন লাভজনক আর কিছু করতে পারে না। এ মূহুর্তে ক্ষতির আশংকায় বেশি থাকে।

সে জাগ্রত হয়ে যখন ঘুমের কারণে হাতছাড়া হওয়া সুযোগের কথা জানতে পারবে তখন কোমড় বেঁধে নেয় আর বাকী দিনগুলোয় জেগে থাকে। যা হাতছাড়া হয়েছে তা পুষে নেয়। আর সজাগ থাকার এ অনুভূতি একমাত্র জিকিরের কল্যাণে অর্জিত হয়। কেননা গাফলত হলো এক গভীর ঘুম।

যে জিনিস এ সমস্ত গাফলতি থেকে হেফাজত করে এবং ওসব অলসতা থেকে রক্ষা করে তা হলো সেই নববী এলাজ ও চিকিৎসা যার সংবাদ স্বয়ং রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, যে নামাজে দশ আয়াত তেলাওয়াত করে সে গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত নয়। যে একশ আয়াত তেলাওয়াত করে সে আবেদের অন্তর্ভুক্ত। আর যে এক হাজার আয়াত তেলাওয়াত করে সে পাক্কা ইবাদতগুজার। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

(দ্বিতীয় খুতবা)

অলসতার সবচেয়ে বড় কারণ এবং সফল প্রতিকার; জিকির ও ইসতিগফার! গাফলতির সবচেয়ে বড় কারণ দিলের জমিনে গুনাহ জমা এবং গুনাহগার তওবা না করা। আর এগুলো অবশ্যই অন্তর্দৃষ্টির জ্যোতি ও আলোয় প্রভাব ফেলে।

কেননা মানুষ নিশ্চিত গুনাহ করে। আর অন্তরগুলো আস্তে আস্তে অবশ্যই অন্যায় করে। একসময় সেগুলোয় মরিচা ধরে যেমন লোহায় মরিচা পড়ে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে। অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়।

সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা আল্লাহ তা’আলা যার বর্ণনা করেছেন,কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে মরিচা ধরিয়েছে– (সূরা মুত্বাফফিফীন ১৪)। (তিরমিজি)

ইমাম ইবনুল কায়্যিম র. বলেছেন, অন্তরের মরিচা দুই কারণে হয়; গাফলতি এবং গুনাহ। আবার মরিচা দূরও করে দুই জিনিসে; ইসতেগফার এবং জিকির।

যার প্রায় সময় গাফলতিতে কাটে তার অন্তরে মরিচা জমতে থাকে। গাফলতি ও অলসতার অনুপাতে প্রতিটি অন্তরে মরিচা পড়ে। অন্তর মরিচাগ্রস্ত হলে তাতে ইলমের ছাপ পড়ে না। তখন বাতিলকে হক্কের সুরতে দেখে। আর হক্বকে বাতিলের সুরতে।

যখন অন্তরে মরিচা জমাট বাঁধে এবং হৃদয় কালো- ধূসর হয়ে যায়। তখন এর কল্পনা ও বোধ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। তখন হক্ব গ্রহণও করে না। বাতিলকে বারণও করে না। আর এটাই অন্তরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

অন্তরে মরিচা ধরার মূল কারণ গাফলতি বা অলসতা এবং প্রবৃত্তির অনুগামিতা। কেননা এ দুটো অন্তরের আলোকে নিষ্প্রভ করে দেয় এবং অন্তর্দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যার অন্তরকে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, সে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং তার কার্য -কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার অনুগত্য করবেন না।

জেনে রাখুন সজাগ কর্ণকুহরে ঈমানের আহবানকারী ঈমানের আওয়াজ শুনিয়ে দিয়েছেন। উন্মুক্ত হৃদয়ের জন্য কোরআনের উপদেশ নসিহত বলা হয়েছে। কিন্তু অন্তরে সন্দেহ -সংশয় ও কামনা -বাসনার ঝড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। হৃদয়ের প্রদীপগুলো নিভে গিয়েছে । সেখান দখল করে নিয়েছে জাহালাত ও গাফিলতির কালো হাত।

অন্তরের সকল হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চাবিগুলোও হারিয়ে গিয়েছে। তার কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আর কোন ভালো কথা ফায়দাজনক মনে হয় না।

ভ্রান্ত কামনা চরিতার্থে সে মত্ত সুতরাং এরপর আর কোন ভৎসনায় কর্ণপাত করবে না। তাকে অনেক ওয়াজ নসিহত করা হয়েছে যে তোমাকে সওয়াল ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তবুও সে মারা গেল অজ্ঞতা ও মূর্খতার সাগরে। কামনা বাসনা ও প্রবৃত্তি প্রমোদের বেড়াজালে। মরা দেহে আঘাত করলে তো আর ব্যথা লাগে না!

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ