মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


পরকালের মুক্তির আশায় হযরত মুআবিয়া রা. পুঁজি হিসেবে যা গ্রহণ করেছিলেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের: তিনি ওহী লেখার দায়িত্ব পালন করতেন৷ এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক নিকটজন ছিলেন৷ উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহার ভাই ছিলেন৷ হযরত আবূ সুফয়ান রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর ছেলে ছিলেন৷

সায়্যিদিনা হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা বর্ণনা করেন, যখন তাঁর মৃত্যুর সময় নিকটে চলে আসলো, তখন উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি সাফা পাহাড়ে হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম৷ সেখানে হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের চুল আঁচড়িয়ে ছিলাম৷ চিরুনিতে থাকা চুলগুলো আমি সংগ্রহ করে অমুক স্থানে রেখেছি৷ যখন আমি মারা যাবো তখন সেই চুলগুলো আমার চেহারায় দিয়ে দিবেন৷

তিনি ওসিয়ত করেন, আমি হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওজু করাতাম৷ তখন তিনি আমাকে তার জামা খুলে পরিয়ে দিয়েছিলেন৷ সেটি আমি অমুক স্থানে রেখেছি৷ আমার মৃত্যুর পর উক্ত জামাটি আমাকে পরিয়ে দিবেন৷

আমি হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের কেটে ফেলা নখগুলো জমা করে অমুক স্থানে রেখেছি৷ আমার মৃত্যুর পর সেগুলো আমার চেহারার উপর দিয়ে দিবেন৷
আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশাবাদী তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের এইসমস্ত বরকতময় জিনিসগুলোর ওসীলায় তিনি আমার উপর দয়া করবেন৷ আমাকে মাফ করে দিবেন৷

তিনি ৬০ হিজরীতে ৭৭ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন৷ আল্লাহ তাআলা তাঁর মনে আশা পূর্ণ করুন এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন৷ আমীন৷ সূত্র: আকওয়ালে সালফ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ