সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


মরক্কোতে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শায়খ আহমাদুল্লাহর শোক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

বিশিষ্ট দাঈ ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ মরক্কোতে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন।  

আজ (১০ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব ভেরিফাউড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে তিনি মরক্কোর ঘটনায় শোকাহত বার্তা দেন। 

হতাহতের ঘটনায় দুঃখ  ও শোক  প্রকাশ করে শিায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পে মরক্কোয় দুই হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা মরক্কোবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত মরক্কোর পাশে মুসলিম দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরও লেখেন,  নিহত মুমিনদেরকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন। আহতদেরকে দ্রুত সুস্থতা এবং বিপদগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ গুরুতর আহত বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিগত একশ বছরেও এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি দেশটির বাসিন্দারা। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কয়েকটি শহর। অনেকে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। 

এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটির আল হাউজ প্রদেশে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। এখনও বহু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি জরুরি বিভাগের সদস্যরা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। রাতে প্রাণরক্ষায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শনিবারও শত শত মানুষকে সড়কের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেচ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। 

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মারাকেচ, আল-হাউজ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া, তারউদান্ত এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন। 

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ