মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
সাহিত্যের বিকাশে ইসলামি বইমেলা নতুন মাত্রা যোগ করবে: ধর্ম উপদেষ্টা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত জাতীয় মসজিদের খতীব মুফতি আব্দুল মালেকের বিনয় ও আমাদের শিক্ষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল আগামীকাল সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল ভোলায় যাচ্ছেন মাও. মামুনুল হক গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের তাবলিগের উভয়পক্ষকে এক করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল মালেকের কাছে বায়তুল মোকাররমে উন্মুক্ত হাদিসের দরসের প্রত্যাশা শিবালয়ে অক্সফোর্ড একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ওআইসিভুক্ত ‘ফিকহ একাডেমি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হলেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ

তাবলিগ নিয়ে মুফতিয়ে আজম রহ.-এর ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মদ উমারা হাবীব ||

বর্তমান তাবলিগ জামাতের সূচনাকালে যেসব উলামায়ে কেরাম সর্বোতভাবে একে সমর্থন সহযোগিতা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন, তাদের শীর্ষস্থানীয় হলেন তখনকার ভারত উপমহাদেশের মুফতিয়ে আজম মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ দেহলবি রহ. (ইন্তেকাল ১৯৫২)। তিনি তাবলিগ জামাতের বিভিন্ন মজলিসে উপস্থিত হয়ে এবং তাবলিগি ইজতেমায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি উৎসাহ জুগিয়েছেন। ১৯৪১ সালে নুহ অঞ্চলে তাবলিগের প্রথম ইজতেমায় মুফতি কেফায়েতুল্লাহ রহ.ও উপস্থিত ছিলেন। শুরু থেকেই শরিয়তের আলোকে ফতোয়া প্রদানের মাধ্যমে তাবলিগের কাজকে বেগবান করেছেন।

১৩৬৪ হিজরিতে মুফতিয়ে আজম রহ. দুটি ফতোয়া সাধারণ মুসলমানদের তাবলিগ জামাত সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববর্তী আকাবিরের পথেই চলছে। তার কাছে প্রশ্ন ছিল-

এক. সাহাবায়ে কেরাম দল বানিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কালেমা নামাজ শেখাতে বের হতেন অথবা পূর্ববর্তী উলামা কালেমা নামাজ শেখাতে জামাত বানিয়ে একজন আমির নির্ধারণ করে অধার্মিক মুসলমানদের ঘরে যেতেন?

তিনি উত্তর লিখেছেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম রাজিয়াল্লাহু আনহুম একা একা এবং কয়েকজন মিলে মিলে এই খেদমত আঞ্জাম দিতেন। তখন এই মেহনত হতো কালেমা নামাজ শেখানোর জন্য অর্থাৎ অমুসলিম কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে নামাজ ইত্যাদি শিখত। কুরআন মাজিদ পড়ত এবং হিফজ করত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে একা কাউকে অন্য সঙ্গীদের সাথে ইসলামের তাবলিগ এবং ইসলামের বিধিবিধান শিক্ষার জন্য পাঠাতেন। আজকাল দুর্ভাগ্যের ফলে মুসলমানদের বিশুদ্ধ কালেমা শেখাতে হয়। তাদের ধরে নামাজের জন্য মসজিদে নিয়ে আসতে হয়। অমুসলিমদের মধ্যে তাবলিগ করার জন্য যাওয়ার সুযোগই হাতে আসে না। তাবলিগের এই কাজে মুসলমানদের অবস্থা সংশোধন হয়ে গেলে পরে অমুসলিমদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাবে।’
দুই. হজরত ইলিয়াস রহ.-এর তাবলিগি কাজের প্রমাণ ইসলামের প্রথম যুগে পাওয়া যায়?

মুফতিয়ে আজম মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ রহ. লিখেছেন, আসলে এই আন্দোলন মৌলিকভাবে ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়। কেননা, আল্লাহ তায়ালার পয়গাম তার বান্দাদের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের ঘরে গিয়ে নিজেই পৌঁছানো প্রকৃত তাবলিগ। ইসলামের প্রথম যুগে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই এই খেদমত আঞ্জাম দিতেন এবং জীবনের প্রতিপদে এটাকেই সবসময় সামনে রাখতেন। এজন্য তখন কয়েকজন মিলে দল দল বানিয়ে এবং আলাদা কোনো নেজাম তারতিব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।  সূত্র: কিফায়াতুল মুফতি ৩/ ৭১-৭৩

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ