মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ।। ৪ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘বৈষম্যহীন অপরাধমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে কোরআনের আইনের বিকল্প নেই’ জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠকে কেন নেই ইসলামি দলগুলো? ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা,খোলা মাঠে ক্লাস গাজার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ২০০ বাংলাদেশ নৈশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে যমুনা রেল সেতু কচুয়ায় শাজুলিয়া ইমাম-উলামা পরিষদের আলোচনা সভা ও ঈদ উপহার বিতরণ  ‘স্বৈরাচারী সরকারের সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হেফাজতে ইসলাম’ কবে দিচ্ছে কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকের রেজাল্ট ? ‘শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে’

‘হাফ প্যান্ট পরার সংস্কৃতি ইসলাম ও সভ্যতা বিরোধী’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| হাসান আল মাহমুদ ||

ইদানীং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের হাফ প্যান্ট পরার প্রবণতা লক্ষা করা যাচ্ছে। বাসা-বাড়ির বাইরেও কাউকে কাউকে দেখা যাচ্ছে হাফ প্যান্ট পরে হাঁটাচলা করতে। হুন্ডা-প্রাইভেটকার ড্রাইভ করতেও দেখা যাচ্ছে। মুসলিম তরুণদের হাফ প্যান্ট পরার এমন প্রবণতা কেন ও কী তার ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন দেশের তিনজন সমাজগবেষক শিক্ষাবিদ, লেখক ও বিজ্ঞ আলেম।

প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম তরুণরা হাফ প্যান্ট পরার দিকে কেন ঝুঁকছে এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রথমত ধর্মীয় অনুভূতির অভাব। ধর্মীয় অনুভূতি, ধর্ম চর্চার প্রাক্টিস তাদের মাঝে নেই। দ্বিতীয়ত ওয়েস্টান কালচার তদের কাছে ভালো লাগছে, অন্যদেরকে হাফ প্যান্ট পরা দেখে নিজেদের মাঝে এই কালচার ধারন করছে।’

ঢাবি এই অধ্যাপক বলেন, ‘এভাবে হাফ প্যান্ট পরে চলাফেলা করার দ্বারা আমাদের নিজেদের তথা বাংলাদেশের নিজস্ব কালচার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যদি নিজেদের কালচার হারায়ে ফেলি, তাহলে আমরা আমাদের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলব’।  

উপযুক্ত বয়সী তরুণদের হাফ প্যান্ট পরা কোনো সভ্যতা হতে পারে কি না? প্রশ্নে বিশিষ্ট লেখক ও সমাজগবেষক শরীফ মুহাম্মদ বলেন, ‘এটি পশ্চিমা খারাপ সংস্কৃতিগুলোর একটি। আমাদের সমাজের এক শ্রেণির হীনমন্যতাগ্রস্ত মুসলমানরা অনুসরণ করার চেষ্টা করছ ‘।

‘এটা একই সঙ্গে ইসলামের নির্দেশিত সতরের বিধানকে লঙ্ঘন করে। আর মানুষের মঝে নির্লজ্জতা উস্কে দেয়। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করার মত নয়। বাসার ভেতরে মা-বাবার সামনে পরাও ঠিক না। আর বাইরেতো এটা কোনোভাবেই উচত না’।– উল্লেখ করেন এই গবেষক।  

শরীফ মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের মুসলিম সংস্কৃতিতে ইসলামের পোষাক নীতিতে পুরুষ ও নারীর পোষাক সতর ঢেকে রাখার বিধান রয়েছে। এ ঢেকে রাখাটা যে কোনো পোষাকে হতে পারে। কারো লুঙ্গি হতে পারে, কারো সেলোয়ারে হতে পারে, কেউ ঢিলাঢালা প্যান্টও পরতে পারে। তবে, পুরুষের জন্য হাঁটুর নিচে না হইলেই হয়’।

এদিকে দেশের অন্যতম শীর্ষ মুফতি ও বিজ্ঞ আলেম মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘ইসলামে একজন পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ। হাদিস শরিফে এসেছে, আমর ইবনে শুআইব (রহ.) তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, ‘কোনো পুরুষ অপর পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না। পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত।’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ৩২৩৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৭; সুনানে দারা কুতনী ১/৩২০)

তিনি বলেন, পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সতর ঢাকা। যে পোশাক এই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ তা শরীয়তের দৃষ্টিতে পোশাকই হতে পারে না। হাঁটুর উপরে থাকে এমন হাফ প্যান্ট পরা ফরজের খেলাপ। এটা ইসলাম ও সভ্যতা বিরোধী কাজ। এসব কাজকে পরিত্যাগ করে পূর্ণরূপে সতর আবৃত হয় এমন পোশাক গ্রহণ করা জরুরি। তা না হলে ফরজ ত্যাগ করার গুনাহ হবে। যা জাহান্নামে যাওয়ার কারণও হতে পারে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ