মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
সাহিত্যের বিকাশে ইসলামি বইমেলা নতুন মাত্রা যোগ করবে: ধর্ম উপদেষ্টা সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত জাতীয় মসজিদের খতীব মুফতি আব্দুল মালেকের বিনয় ও আমাদের শিক্ষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল আগামীকাল সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল ভোলায় যাচ্ছেন মাও. মামুনুল হক গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের তাবলিগের উভয়পক্ষকে এক করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল মালেকের কাছে বায়তুল মোকাররমে উন্মুক্ত হাদিসের দরসের প্রত্যাশা শিবালয়ে অক্সফোর্ড একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ওআইসিভুক্ত ‘ফিকহ একাডেমি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হলেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ

একাধিক মাদরাসায় হাদিস পড়ানো টিউশনি মাস্টারের মত : মুফতী জাফর আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

‘একাধিক মাদরাসায় হাদিস পড়ানোর বিষয়কে টিউশনি মাস্টারের মত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজধানীর ঢালকানগরের পীর খ্যাত বিশিষ্ট আলেম বাইতুল উলুম ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জাফর আহমাদ

তিনি বলেন, ‘আজকাল দেখা যাচ্ছে একজন মুহাদ্দিস ১৫ জায়গায় হাদিস পড়ান। এটা কি ‘কহতর রিজাল’, মুহাদ্দিসের অভাব! না হলে ১৫ জায়গায় কেন যাবে!  আমাদের আকাবিরিনদের যুগে কি এমন পদ্ধতি ছিল! হুসাইন আহমাদ মাদানী দশ জায়গায় পড়াতেন! আনোয়ার শাহ কাশ্মেরী বিশ জায়গায় পড়াতেন? আর এখন এটাকে গৌরবের জিনিস হিসাবে মনে করছে’।

‘কিন্তু বাস্তব কথা কথা হল যোগ্য আলেমের অভাব হয়ে গেছে। যার কারণে একজন যোগ্য পেলে ২০ জায়গায় পড়ান। বিশ মাদরাসা তাকে টানে। কিন্তু এর কারণে ক্ষতি যেটা হচ্ছে, এর পক্ষে আমি না। এটা তো টিউশনির মত হয়ে গেছে। একজন মানুষ যেমন দশ জায়গায় কুরআন পড়ানোর টিউশনি করে, আর এটা হচ্ছে হাদিস শরিফের টিউশন।;- যুক্ত করেন তিনি।

গত ২ জুন ২০২৪ রোববার সন্ধায় আওয়ার ইসলামের সঙ্গে ঢালকানগরে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুফতী জাফর আহমাদ    এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বড় একজন আলেম এখন নেই। তিনি অনেক মাদরাসায় বুখারি পড়াতেন। আমি এক প্রোগ্রামে একাধিক মাদরাসায় পড়ানোর বিষয়টাকে টিউশনির সাথে আখ্যা দিলে তিনি আমার উপর রাগ করলেন। আমি বললাম, কেউ দশ জায়গায় কুরআন শরিফ পড়ালে টিউশনি মাসটার হতে পারলে হাদিস শরিফ দশ জায়গায় পড়ালে টিউশনি মাস্টার হবে না কেন! এ দুটার পদ্ধতি তো একই’।

মুফতী জাফর আহমাদ বলেন, ‘আপনি বিশ জায়গায় না পড়িয়ে এক জায়গায় পড়ান। ছাত্র গড়েন। লোক বানান। আমাদের হাদিস শরিফের পরিভাষায় ‘কাসরাতে মুলাযামাত’ নামে একটা বিষয় আছে। অর্থাৎ একজন শাগরেদ এক উস্তাদের দীর্ঘ দিন সোহবত নিবে। আরেকজন অল্প সময়ে সোহবত নিয়েছে। এই দুজনের রেওয়াতের ভিতরে যদি ইখতিলাফ হয়, তাহলে তারজিহ (প্রাধান্য) কার? কাসরাতে মুলাযামাতের। যে বেশি উস্তাদের সোহবত নিয়েছে তার ’।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা কেন? সোহবতের কারণেই তো। তো, এই যে, যে উস্তাদে বৎসরে একবার, ৬ মাসে একবার, মাসে একবার পড়াতে যান, মাদরাসার অফিসে যান, খাবারদাবার খান সবকে ঢুকেন তারপর গাড়িতে ওঠে চলে যান। তো, এটার কারণে কি উস্তাদের রং ছাত্রের ভিতরে আসে? আজকাল এসব কারণে উস্তাদের রং ছাত্রের ভেতর না আসার এটাও অন্যতম কারণ। যার কারণে আজ মানুষ সৃষ্টি হচ্ছে না’।  

তিনি বলেন, ‘এখন এই যে, যে দশ জনে পুরো ঢাকাকে ক্যাপচার করছে, মাদরাসায় মাদরাসায় হাদিস পড়াচ্ছেন, বুখারি পড়াচ্ছেন এই দশ জন মরে গেলে কি হবে! দেখা যায়, এক শাইখুল হাদিস মারা গেছেন তো ১৫ মাদরাসার শাইখুল হাদিস খতম হয়ে গেছে’।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ