সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ০৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে:ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ‘অখণ্ড ভারত’ মতবাদ এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ৫ মে ২০১৩: কী ঘটেছিল সেদিন ঢাকায়? আসুন, শাপলা হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হই মহাসমাবেশ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হেফাজত নেতারা মাওলানা বুস্তানবীর ইন্তেকাল উম্মাহর জন্য বিশাল ক্ষতি: দেওবন্দের মুহতামিম রানীগঞ্জে জমিয়তের সঙ্গে সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঘোড়ায় চড়ে হজ করতে এলেন চার ইউরোপীয় মুসলিম! প্রত্যাহার হচ্ছে হেফাজতের দুই শতাধিক মামলা, প্রক্রিয়া শুরু

ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনি, নিহত ৪

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকি ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে মসজিদে মাইকিং করে গ্রামবাসীর পিটুনিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাগরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, গ্রামবাসীর ভাষ্য— রাতের বেলা ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত তাদের গ্রামে ঢোকে। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে তাদের গণপিটুনি দেয়৷

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়৷ ঢাকা মেডিকেলে যাকে নেওয়া হয়েছিল, রাতেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে বাগরি গ্রামের বাগরি বিলে কয়েকজন অপরিচিত লোককে দেখতে পান গ্রামবাসী। তাদের গতিবিধি দেখে ডাকাত বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা।

পরে মসজিদের মাইকে 'গ্রামে ডাকাত পড়েছে' বলে ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামবাসী বিলের সামনে জড়ো হয়৷ গ্রামবাসী ধাওয়া দিলে ওই ব্যক্তিরা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে পিটুনি দিলে তিনজন সেখানেই মারা যায়৷

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। আহত যাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সে তার নাম বলেছে মো. আলী। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সে স্বীকার করেছে যে, তারা ডাকাত দলের সদস্য৷ তারা আট-দশজন মিলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ কিন্তু রমজান মাস হওয়ায় গ্রামের লোকজন তখন জেগে ছিল৷ ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাদের গণপিটুনি দেয়।

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ