বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ।। ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৫


যুদ্ধ করতে নারাজ ইসরায়েলি সেনারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখনো অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হাসামকে পুরোপুরি নির্মূলের বার্তা দিয়ে আসছে। এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও তারা এখনো নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়ে তেমন কোনো ফলাফল ধরা না দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এর বরাতে রোববার (২৮ এপ্রিল) আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার ইউনিটের সেনারা বলছেন, রাফাহ সীমান্তে অভিযানের জন্য ডাকা হলে তারা এতে সাড়া দেবেন না।

গাজার বর্তমান সবশেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মিসরের রাফাহ সীমান্ত। এলাকাটিতে ইসরায়েল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এমন সময় দেশটির সেনারা এ মনোভাব জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রিজার্ভ সেনাদের দায়িত্বে ফেরাতে জোর করবেন না কমান্ডাররা। তবে এর মাধ্যমে দীর্ঘ এ যুদ্ধে সেনারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এর আগে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা দখলের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন তারা সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনুমোদন পেলেই অভিযান শুরু করা হবে।

নাম প্রকাশে ওই কর্মকর্তা জানান, হামাসের শেষ ঘাঁটি রাফা। সেখান থেকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে হামাসের ঘাঁটি আক্রমণ করার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল একটি স্থল অভিযানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কখন এ হামলা শুরু হবে সে ব্যাপারে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় অভিযানের জন্য দুটি রিজার্ভ ব্রিগেড মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কারণ, সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েকশ ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না।

নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের অধিক। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ