সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ০৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে:ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ‘অখণ্ড ভারত’ মতবাদ এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ৫ মে ২০১৩: কী ঘটেছিল সেদিন ঢাকায়? আসুন, শাপলা হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হই মহাসমাবেশ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হেফাজত নেতারা মাওলানা বুস্তানবীর ইন্তেকাল উম্মাহর জন্য বিশাল ক্ষতি: দেওবন্দের মুহতামিম রানীগঞ্জে জমিয়তের সঙ্গে সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঘোড়ায় চড়ে হজ করতে এলেন চার ইউরোপীয় মুসলিম! প্রত্যাহার হচ্ছে হেফাজতের দুই শতাধিক মামলা, প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশিদের ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত আসামের হোটেল মালিকদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কথিত সংখ্যলঘু নির‌্যাতনের অজুহাতে বাংলাদেশিদের ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের সীমান্তঘেঁষা আসামের বারাক উপত্যকার হোটেল মালিকরা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিপীড়ন না থামবে- ততক্ষণ তারা কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে হোটেল ভাড়া দেয়া বন্ধ রাখবেন। শুক্রবার বারাক উপত্যকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের কাছাড়, শ্রীভূমি (আগে ছিল করিমগঞ্জ) এবং হাইলাকান্দি জেলা নিয়ে গড়ে উঠেছে বারাক উপত্যকা। বাংলাভাষী এই অঞ্চলটির বাংলাদেশে সিলেট বিভাগের সঙ্গে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে।

বারাক উপত্যকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। আমরা এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বারাক উপত্যকার তিনটি জেলার সব হোটেল ও রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে আতিথ্য দেয়া হবে না। এটিই আমাদের প্রতিবাদ।

বাবুল রায় আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে অবশ্যই দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি পরিস্থিতি উন্নত হয়, তবে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি।

এদিকে, সম্প্রতি ভারতীয় রাজনৈতিক দল বজরং দল আসামের শিলচরের একটি হোটেলে চলমান একটি আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি করা দুটি স্টল বন্ধ করার অনুরোধ জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবে এই দাবি জানানো হয়। পরে এই দাবি মেনে নেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ কয়েকটি জেলার হোটেল ব্যবসায়ীরাও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। ৯৩টি হোটেলের মালিকদের সমন্বয়ে গঠিত মালদহ হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, আমাদের সদস্যরা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশি অতিথিদের আমাদের হোটেলগুলোতে থাকার অনুমতি দেব না।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ