সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


দুঃসময়ে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার আমল ও দোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী সবকিছু আল্লাহ তায়ালার প্রশংসায় পরিপূর্ণ। সৃষ্টিজগতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণানা করে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘সাত আসমান ও জমিন এবং এগুলোর অন্তর্বর্তী সবকিছু তারই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে না; কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা বুঝতে পারো না।’ -( সুরা বনি ইসরাঈল : ৪৪ )

আল্লাহর প্রশংসা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিকির। যা আল্লাহ অনেক পছন্দ করেন, এটা আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যম। তাই বান্দা রাতদিন যেসব কথা বলে তার মধ্যে আল্লাহর প্রশংসামূলক জিকির থাকা জরুরি। রাতদিনের কোনো সময় যেন এমন জিকিরবিহীন না কাটে।

যে দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা হয়, তা কবুল হওয়ার অধিক উপযোগী। নবী করিম সা. বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে, তখন সে যেন আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন দিয়ে শুরু করে।’ -সুনানে তিরমিজি

যে ব্যক্তি হামদ পাঠে নিজের জিহ্বাকে একবার নাড়াবে, এতে সে প্রতিবার তাহমিদ (আলহামদুল্লিাহ) পাঠের বিনিময়ে ধন-সম্পদ সদকা করার সমান সওয়াব পাবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি তাহমিদ তথা আলহামদুলিল্লাহ বলা একটি সদকা।’ -সহিহ মুসলিম

আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় চারটি কালেমার মধ্যে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ অন্যতম। এটি হজরত রাসুলুল্লাহ সা.-এর কাছেও বেশি প্রিয় সেসব বস্তুর চেয়ে, যার ওপর সূর্য উদিত হয়।

যে ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে হামদ পাঠে ব্যস্ত রাখে, সে সবার চেয়ে অগ্রগামী। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এই দোয়াটি এক শ’ বার পাঠ করবে- ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি’- তাহলে কেয়ামতের দিন অন্য কেউ তার চেয়ে উত্তম কোনো আমল নিয়ে আসতে পারবে না। তবে যদি কেউ অনূরুপ বা এর চেয়েও বেশি আমল করে সে ব্যতীত।’ -সহিহ মুসলিম

 ‘আলহামদুল্লিাহ’-এর সঙ্গে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা দাস মুক্তির সমান এবং তা গোনাহ মোচন আবশ্যক করে দেয়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি বলবে- ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়াবিহামদিহি’ তবে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।’ -সহিহ মুসলিম

হামদ পাঠের একটি বাক্য রয়েছে, যার সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়। হজরত রাসুলুল্লাহ সা. হজরত জুয়াইরিয়া রা.-কে বললেন, ‘আমি তোমার নিকট হতে বের হবার পর চারটি কালেমা তিনবার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা পাঠ করেছ তার সঙ্গে সেগুলো ওজন করা হলে- এগুলোর ওজন ভারী হবে।’ -সহিহ মুসলিম

হামদ ও তাসবিহ এমন দু’টি বাক্য, যা উচ্চারণে হালকা এবং ওজনে ভারী। এ মর্মে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘দু’টি বাক্য এমন যা মুখে উচ্চারণ করা অতি সহজ, পাল্লায় অতি ভারী আর দয়াময়ের নিকট অতি প্রিয়। তা হলো-

سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।

অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।’ -( সহিহ বোখারি )

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ