শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে ৯৪২ এজেন্সি ফেনীর শর্শদি মাদরাসার মাহফিল শুরু আগামীকাল পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার মুফতি আমিনীকে ভয় পেত: ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ পেলেন মুহাম্মাদ রাজ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর জন্য সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ:, সংগ্রামী এক আলেমের জীবন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাওলানা ভাসানীর অবদান স্মরণীয় : তারেক রহমান হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে মালয়েশিয়া

মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষ আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়েই বাঁচে। মনের আশা পূরণে কত কিছুই না করে থাকে মানুষ। অনেকে অনেক আমলও করে থাকেন। কিন্তু মনের আশা পূরণে ইসমে আজম হলো উৎকৃষ্ট উপায়। ‘ইসম’ শব্দের অর্থ নাম। ‘আজম’ শব্দের অর্থ মহান বা শ্রেষ্ঠ। ইসমে আজম অর্থ মহান-শ্রেষ্ঠ নাম। মহান আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নামের মধ্যে কিছু নামকে ইসমে আজম বলা হয়।

তবে সেই নামগুলো কী—সে ব্যাপারে অনেক অভিমত রয়েছে। আলেমরা বিভিন্ন নামকে ইসমে আজম বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র কোরআনেও ইসমে আজম রয়েছে। রাসুল সা. এক হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘ইসমে আজম সুরা বাকারার ৩৬৩ নম্বর আয়াত এবং সুরা আল ইমরানের ১ নম্বর আয়াতে রয়েছে।’ (সুনানে আবি দাউদ: ১৪৯৬)

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন। নিচে সেরকম দুটি দোয়া হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হলো।

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالإِكْرَامِ يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ ‏

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা বি আন্না লাকাল হামদ, লা ইলাহা ইল্লা আন্তাল মান্নানু বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সকল প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা! হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’

এই দোয়াটির ব্যাপারে হাদিসে আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি রাসুলুল্লাহ সা.-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এসময় এক ব্যক্তি নামাজ আদায় করে দোয়াটি পাঠ করল। তখন নবী সা. বলেন, এ ব্যক্তি ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে, যে নামে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নামে তাঁর নিকট চাওয়া হলে তিনি দান করেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৯৫, অধ্যায়: ২/সালাত)

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা, আন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’

অর্থ: ‘ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এবং আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, তুমিই আল্লাহ এবং তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই। তুমি একক এবং অমুখাপেক্ষী যার কোনো সন্তান নাই এবং যিনি কারও সন্তান নন, যার সমকক্ষ কেউই নাই।’

বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. দুইজন লোককে দোয়াটি বলতে শুনেছেন। তখন রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে ইসমে আজমের মাধ্যমে চেয়েছ, যার মাধ্যমে চাইলে আল্লাহ দান করেন এবং দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন।’ (আবু দাউদ: ১৪৯৩)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ