গরমকালে বাজারে ভরে যায় সবুজ কাঁচা আম। শুধু আচার বা চাটনিতে স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও কাঁচা আম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, এই ফল শরীর ঠাণ্ডা রাখে, হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, ত্বকের বয়সজনিত ছাপ কমায় এবং চোখ ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
এ ছাড়া এটি হজম ও লিভার ডিটক্সেও কার্যকর। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।
হিটস্ট্রোক থেকে সুরক্ষা
গরমে ঘাম ও পানিশূন্যতার কারণে শরীর থেকে লবণ ও আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়, যা হিটস্ট্রোকের কারণ হতে পারে। কাঁচা আম শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।কাঁচা আমের শরবত বানিয়ে খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
হজমশক্তি বাড়ায়
কাঁচা আমে থাকা এনজাইম ও ফাইবার হজমে সহায়তা করে। এটি পিত্তরসের নিঃসরণ বাড়িয়ে বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা আম শরীরে সাদা রক্তকণিকা বাড়ায়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে।
লিভার পরিষ্কার রাখে
চিকিৎসকদের মতে, কাঁচা আম লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি পিত্তরস নিঃসরণ বাড়িয়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ফলে হজমশক্তি ও ত্বকের অবস্থা উন্নত হয়।
দাঁত ও মুখের যত্নে সহায়ক
কাঁচা আমে থাকা ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের জীবাণু দূর করে। এতে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মুখের দুর্গন্ধ কমে।
চুল ও ত্বকের যত্নে উপকারী
এই ফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এতে ত্বক উজ্জ্বল হয়, ব্রণের সমস্যা কমে, এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়।
সূত্র : এশিয়ানেট
এনএইচ/