শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ।। ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :

সিলেটের তাওহিদি জনতার জন্য এর চেয়ে আনন্দের সংবাদ আর কী হতে পারে!


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

সাদিকুর রহমান

হজরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদের যে মহান মিশন নিয়ে সিলেটে আগমন করেছিলেন, তাঁর ওফাতের ৭০০ বছর পর আবারও সেই মিশনের পুনর্জাগরণ শুরু হয়েছে—তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরিদের মাধ্যমে।

এবার দরগাহ মাজারে অনুষ্ঠিতব্য ওরস হবে গান-বাজনা, মদ-গাঁজা, শিরকি ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যদি ঘোষণা অনুযায়ী ওরস আয়োজন করা হয়, তবে নিঃসন্দেহে সিলেটের মানুষ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত হবে, আর আমরা আল্লাহর কাছে দায়মুক্ত হতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

অতীতে এসব বন্ধে বহু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে—মাঠের আন্দোলন, মিছিল-মিটিং, এমনকি রক্তপাতও ঘটেছে। কিন্তু পরিবর্তন আসেনি। এবার কোনো বলপ্রয়োগ ছাড়াই, হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর তরিকায় শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।

এ উদ্যোগে "হজরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলা", সিলেটের পুলিশ প্রশাসন, উলামায়ে কেরাম ও সচেতন মহলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে সবার আগে সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন হজরত মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ (হাফিজাহুল্লাহ)।

গত বছর যখন তিনি মাজারের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, তখন কেউ পাশে দাঁড়িয়েছেন, আবার কেউ উপহাস করেছেন, কেউবা প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করেছেন। কিন্তু আল্লাহর এ প্রিয় বান্দা মনোবল হারাননি। বুকভরা ঈমান আর সাহস নিয়ে তিনি অগ্রসর হয়েছেন। আল্লাহ তাঁর চেষ্টা কবুল করেছেন—শিরকমুক্ত হচ্ছে দরগাহর পরিবেশ, ফিরছে তাওহিদের সুবাতাস।

মুজাহিদে মিল্লাত প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান (রহ.)-এর সুহবতপ্রাপ্ত শাগরিদ মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ (হাফিজাহুল্লাহ)-এর মাঝে আমরা তাঁর চেতনা ও স্পষ্ট ধারার প্রতিফলন দেখতে পাই।

আমরা সকলে মিলে আল্লাহর এই বান্দাকে যদি সহযোগিতা করি, তাহলে আশাকরি সিলেটের সব মাজার, ওরস ও শিরক-বিদআতসহ সকল অশ্লীলতা মুক্ত হবে—ইনশাআল্লাহ।

লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, সংগঠক

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ