শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬


গভীর রাতে ফেসবুকে প্রেস সচিবের পোস্ট


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম কোরআনের একটি আয়াত লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। 

ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব’ (অর্থ: আল্লাহর সাহায্য এবং বিজয় নিকটবর্তী)। এটি কোরআনের সুরা: সফ এর ১৩ নম্বর আয়াত।

এই অতি সংক্ষিপ্ত এবং শক্তিশালী বাক্যটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিজয় এবং আল্লাহর সাহায্যের আশাবাদ ব্যক্ত করে। অনেকের মনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে।

এটি যে সময় দেওয়া হয়েছে, তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রাতের গভীর মুহূর্তে দেওয়া এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শফিকুল আলম এক ধরনের শক্তিশালী, আশাবাদী এবং সংকল্পবদ্ধ বার্তা দিয়েছেন যা দেশীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গূঢ় তাৎপর্য বহন করে।

এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার ও আলোচনা শুরু হয়েছে।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ দেশে বিভাজন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

‘মনে রাখবেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলে দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। যদি আমরা খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাই, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার চেষ্টা করবে।’

তারও আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল ৫টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য।

আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল— সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সকল শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’ 

তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের এবং ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ