রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ ‘নাগরিক কোয়ালিশন’-এর আয়োজনে আজ রোববার (১১ মে) সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবনা নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে উক্ত জোটে কোনো ইসলামি সংগঠন বা আলেম প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
আজ সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে ৮৪ জনের বেশি মাদরাসাছাত্র ও আলেম শহিদ হন। এটা রেকর্ডেড। যমুনা ও শাহবাগে আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন সফলকরণে হেফাজতে ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামী দলের সরাসরি অংশগ্রহণ ও অগ্রগামী নেতৃত্বও অনস্বীকার্য।”
তিনি আরও বলেন, “হেফাজতে ইসলাম একটি বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের প্লাটফর্ম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি, হেফাজতে ইসলামসহ আলেম-ওলামার প্রতিনিধি বাদ দিয়ে কথিত নাগরিক জোট গঠনের প্রয়াস নেয়া হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং এমন বৈষম্যমূলক জোট গঠনের উদ্যোগকে গণপ্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
মাওলানা ইসলামাবাদী মনে করেন, সাম্প্রতিককালে জনগণের বহু রক্তাক্ত ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসেছে, সেখানে আলেম-ওলামার অবদান ও নেতৃত্বমূলক ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, “তাসত্ত্বেও নাগরিক সমাজের কোনো গোষ্ঠী আলেম-ওলামার প্রতিনিধি বাদ দিয়ে কোনো জোট বা প্লাটফর্ম করলে সেটা যে ‘সচেতন বিভাজন’, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনসমাজে প্রভাবশালী বৃহত্তর কোনো পক্ষের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে বৈষম্য ও বিভেদমুক্ত সংবিধান ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনে কোনো নাগরিক জোট বা উদ্যোগ সফল হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ আগের মতো বৈষম্যমূলক ও গণবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকুক, তা আমরা চাই না। কিন্তু সচেতনভাবে আলেম-ওলামাকে বাদ দিয়ে গঠিত কোনো নাগরিক জোট বা উদ্যোগের প্রতি আমাদের সমর্থন দূরের কথা, আমরা গণপ্রত্যাখ্যান করি।”
এমএইচ/