বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতীয় মুসলিম নেতারা হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি? ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভীর স্মৃতি নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করবে’ পাক-ভারত যুদ্ধ : ঈমানের লড়াই না ভূখণ্ডের দ্বন্দ্ব? ‘নারী কমিশন ইস্যুতে বিতর্ক জিইয়ে রাখা সরকারের উচিত হচ্ছে না’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত – শান্তির শেষ সুযোগ কি ইসলামাবাদের হাতে? পাকিস্তানে নয়, মোদি নিজের ওপরই হামলাটা করলেন নতুন আমিরে গতি ফিরেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শহীদ একজন সিলেটী  ভারত তাদের নিকৃষ্টতা বিশ্বের সামনে উন্মোচন করে দিয়েছে: আল্লামা তাকী উসমানী ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জমিয়ত মহাসচিব

ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম।

বুধবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, ভারত মনে করেছে বাংলাদেশের মানুষের উপর হামলা করলে যেহেতু কিছু হয় না, পাকিস্তানে আক্রমন করলেও কিছু হবে না। 

ভারতের মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। এজন্য ভারত বেপরোয়া হয়ে গভীররাতে পাকিস্তানে কাপুরোষিত হামলা করে বেসামরিক ১৫জন মুসলমানকে হত্যা করে নিজেদের অত্যন্ত বর্বর ও অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। 

মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ করছে না বিএসএফ। দু’দেশের সরকার প্রধান ও বিজিবি-বিএসএফয়ের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার চলছেই বিএসএফয়ের। ভারত মুসলমানদেরকে থোরাই কেয়ার করছে। কিন্তু ভারত জানে না তারা একঘরে হয়ে যাচ্ছে মুসলমানদের উপর প্রশাসনের সহায়তায় হামলার কারণে।

তিনি বলেন, ভারত অত্যন্ত নিমকহারাম জাতি। ভারত উপমহাদেশ মুসলমান শাসকগণ সাড়ে আটশত বছর শাসন করেছে। মুসলিম শাসকগণ চাইলে হিন্দুমুক্ত ভারতবর্ষ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। এখন ভারত ধরাকে শরা জ্ঞান করে মুসলিম নিধনে মরিয়া হয়ে উঠছে। ভারতকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে।

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতা বলেন, ভারত যদি মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন ও বর্বরতা বন্ধ না করে অচীরেই ভারতে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। এই ভাঙ্গন কেউ রোধ করতে পারবে না। এ জন্য ভারতের উগ্রপন্থি হিন্দু সন্ত্রাসীদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যেকোনো হামলা, নির্যাতন, জুলুম বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বব্যাপী ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠলে ভারতের আখের রক্ষা হবে না।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ