বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইত্তেফাকুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়্যাহ কেরানীগঞ্জের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাপলা ও পিলখানার বিচার দাবিতে জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হজযাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ সৌদি যুবরাজের নারী কমিশন ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে পুনর্গঠন করতে হবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসলামী আন্দোলন আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলনের ঐকমত্য, কয়েকটিতে দ্বিমত কোনো সন্ত্রাসী যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে: আইজিপি

দেওবন্দের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

DEWANDআওয়ার ইসলাম : ভারতের প্রখ্যাত ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র দারুল উলুম যেখানে প্রতিষ্ঠিত, সেই দেওবন্দের নাম বদলের প্রস্তাব করেছেন বিজেপি-র একজন নেতা।

বলা হচ্ছে মহাভারতে ওই এলাকার উল্লেখ রয়েছে 'দেওভৃন্দ' নামে। সেই আদিকালের নামেই এখন দেওবন্দকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান উত্তরপ্রদেশের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ওই অঞ্চল থেকে জয়ী বিজেপি বিধায়ক ব্রিজেশ সিং।

অন্যদিকে দারুল উলুমের অনুসারীগণ বলছেন শুধু ইসলামী শিক্ষার জন্য নয়, ওই প্রতিষ্ঠান ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেও বহুল পরিচিত। দেওবন্দের নাম বদল করা হলে তা ইতিহাস বিকৃতির সামিল হবে বলে মন্তব্য ওই মুসলিম নেতার।

বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিজেশ সিং বলছিলেন কেন দেওবন্দের নাম পাল্টাতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘দেওবন্দ এলাকার উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতে -দেওভৃন্দ নামে। এর পাশে একটি এলাকা আছে রণখন্ডী। সেখানে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের রণখন্ড তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও দেওবন্দে বহু প্রাচীন শক্তিপীঠ রয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘ভোটের প্রচারের সময়ে সাধারণ মানুষ অনুরোধ জানিয়েছিল যাতে দেওবন্দের নাম বদল করে দেওভৃন্দ রাখা হয়। সেই প্রস্তাবটাই নতুন সরকারের কাছে রাখতে চাই আমি।’

মহাভারতে উল্লেখিত এলাকাগুলি আসলেই দেওবন্দ বা তার আশপাশের অঞ্চল কীনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীতে দেওবন্দ পরিচিতি পেয়েছে ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দারুল উলুমের জন্য।

১৮৬৬ সালে তৈরি এই প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ইসলামী শিক্ষা যেমন সারা পৃথিবীতে মান্যতা পায়, তেমনই এখানকার ধর্মীয় ব্যাখ্যা বা ফতোয়াও মান্যতা পায় ইসলামী সমাজে।

দারুল উলুমের প্রাক্তন কৃতী ছাত্র মৌলানা মুফতি এমদাদুল্লাহ এখন জমিয়তুল আ ইম্মা অল উলেমার সভাপতি। তিনি বলছিলেন, "ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টা তো সব ধর্মেই থাকে, মুসলমানদেরও আছে। সেক্ষেত্রে দারুল উলুমের অবদান তো আছেই। কিন্তু তার থেকেও বড় ভূমিকা থেকেছে দারুল উলুমের - সেটা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। এখন যদি কেউ স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমান নেতাদের ভূমিকাকে ভুলে যেতে চান, তিনি ভোটে জিতেছেন বলে, তা তিনি করতেই পারেন। যেভাবে মুসলমান নেতাদের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে, এবার জায়গার নামটাও বদলে ফেলা হবে। এ তো নোংরা রাজনীতি হচ্ছে।"

অনেকে মনে করছেন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেওবন্দের নাম পরিচিত হয়ে গেছে বলেই এখন মহাভারতের যুগের নাম ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

কিন্তু শহরের নাম বদল এত সহজ হবে না বলেই মনে করেন অনেকে, কারণ দারুল উলুম আর দেওবন্দ শহর - এই দুটো অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে রয়েছে।

সেখানকার হাজার হাজার দোকানদার হিন্দু, আর খদ্দেররা দারুল উলুমের হাজার পাঁচেক মুসলমান ছাত্র বা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসা আত্মীয় স্বজন অথবা কয়েকশো শিক্ষক।

তাই হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইবেন না স্থানীয় জনগণ ও হিন্দু ব্যবসায়ীগণ এমনই মনে করেন অনেকে।

সূত্র : বিবিসি

-এআরকে

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ