শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ট্রাম্পের নামে গোলানে বসতি স্থাপন করছে ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ার কাছ থেকে দখলকৃত গোলান মালভূমিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে নতুন একটি শহর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গতকাল রোববার (১৬ জুন) শহরটির উদ্বোধনকালে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অঞ্চলটির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ায় ট্রাম্পের সম্মানে এ শহরের নাম ট্রাম্প উপত্যকা রাখা হয়েছে।’

দখলকৃত সেই ভূমিতে এখন পর্যন্ত কোনো ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু না হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা সম্বলিত একটি ভিত্তিপ্রস্তরের এরই মধ্যে উন্মোচন করেছেন নেতানিয়াহু।

যদিও সমালোচকদের দাবি, কোনো ধরনের আইনগত বৈধতা না থাকায় ইসরায়েল চাইলেও এখানে কিছু করতে পারবে না। যে কারণে এটি নেতানিয়াহুর কেবল একটি প্রচারণার কৌশল মাত্র।

এর আগে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে সিরীয় ভূখণ্ড গোলান মালভূমির দখল নিজেদের করে নেয় ইসরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক কোনো সম্প্রদায়ই এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বের বিষয়ে নিজেদের স্বীকৃতি প্রদান করেনি।

এ দিকে চলতি বছর আগের সব মার্কিন নীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিষয়ে স্বীকৃতি প্রদান করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

২৫ মার্চ হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প জামাতা জ্যারেড কুশনারের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট।

যার অংশ হিসেবে গত রবিবার শহর উদ্বোধনের সময় ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্রকৃত বন্ধু আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আজ আমাদের দুই দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।’

পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফাইডম্যান বলেছিলেন, ‘শহরটি কেবল ইসরায়েলের জন্যই উপযুক্ত; যদিও এর জন্য তাদের এতদিন চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।’

অপর দিকে গত এপ্রিলে দখলকৃত এই মালভূমিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নামে একটা কমিউনিটি গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এর প্রথম ধাপে মোট ১২০টি সেক্যুলার-ধর্মীয় বসতি নির্মাণের কথা জানানো হয়।

যদিও এর আগে ১৯৯২ সালে এই অঞ্চলটিতে একটি বসতি গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে বিভিন্ন চাপে তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। বর্তমানে গোলান মালভূমিতে রয়েছে মোট ৩৩টি শহর ও গ্রাম। এগুলোর মধ্যে সর্বশেষ নিমরদ গ্রামটি ১৯৯৯ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে গোলানে বসবাসকারী লোকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। যাদের মধ্যে ইহুদি ২৩ হাজার এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজারের মতো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর