শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


বিআরটিসি চলাচলে বাধা, শ্রমিক-যাত্রীদের মারধর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ডিপোতে বাস চলাচলে বাধা দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিআরটিসি সুপারভাইজার মো. আসাদুজ্জামান, নিরাপত্তাকর্মী মো. বাবুল মিয়া ও নিরাপত্তাকর্মী সলিম ইসলাম শ্রমিকদের হাতে আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

একপর্যায়ে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দিলে এই সংঘর্ষ হয়।

এতে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন মুন্না, বাসচালক মিনাজসহ আরো এক চালক আহত হন বলে শ্রমিকরা জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনাজপুর বিআরটিসি বাস ডিপোতে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, বিআরটিসি বাস ডিপোতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বাস চলাচলে বাধা দিতে গেলে প্রথমে পুলিশ এসে তাদের থামিয়ে রাখে। একটু পর হঠাৎ র‌্যাব এসে শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। র‌্যাবের লাঠিচার্জে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।

বিআরটিসির শ্রমিকরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বাস চলাচলে বাধা দিতে এসে সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান ও নিরাপত্তাকর্মী বাবুল মিয়া, সলিম ইসলামকে মারধর করেন।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে এক যাত্রীও পরিবহন শ্রমিকদের হাতে মারধরের শিকার হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

তারা জানান, এরপর বিকেল ৫টার দিকে দিনাজপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে রাখে ডিপো কর্তৃপক্ষ। এ সময় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

তবে এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক শ যাত্রী। নিলুফা নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ভাই বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে। আমি বিকেল ৩টার সময় এখানে এসে টিকিট কেটে বসে আছি। পরে বাস যাবে না বলে টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাধ্য হয়েই আমাকে আবার বাড়ি ফিরতে হচ্ছে’।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অফিস শেষ করে আমি রংপুরে যাব। কিন্তু কাউন্টারে এসে দেখি বাস যাবে না। এখন বেশ বিপদে পড়ে গেলাম।’

বিআরটিসি বাস ডিপোর প্রশাসনিক ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সাধারণ যাত্রীদের সেবা দিতেই বাস চালাচ্ছি। বাস সংকটের কারণে আমরা দ্বিতল বাস নামিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা এবং দুপুর ২টায় আমাদের এখান থেকে বাস ছেড়ে গেছে।

কিন্তু বিকেল ৩টার পর শ্রমিকরা আমাদের এখান থেকে বাস যেতে বাধা দেয়। এ সময় আমাদের বাস ডিপোর কয়েকজনকে তারা মারধরও করেন। আমরা চাই সাধারণ যাত্রীদের সেবা দিতে কিন্তু এভাবে চললে সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে সেবা পাবে আপনারাই বলেন।’

এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেনের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি এ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর