সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সেনানীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার হীন অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে’ শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন

ফেরেশতারা দিয়েছিলেন যে সন্তানের সুসংবাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ : হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম। আল্লাহর প্রেরিত নবীদের একজন। তিনি জন্ম লাভ করেছেন পিতা ছাড়া । তারঁ জন্মের সুসংবাদ দিয়েছিলেন ফেরেশতারা। তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবীর আগের নবী। শিশু অবস্থায় যিনি মায়ের কোলে থেকে সুস্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছিলেন। যা কুরআনে এসেছে এভাবে- (জন্মের পর যখন ইয়াহুদিরা মারইয়ামের প্রতি অপবাদ দিয়ে ভৎসনা করতে থাকে, তখন সদ্যজাত শিশু ঈসা আলাইহিস সালাম বলে ওঠেন) ‘আমি আল্লাহর বান্দা।

দুনিয়ায় মানুষের জন্ম হয় নারী-পুরুষের মিলনের মাধ্যমে। এটি মহান আল্লাহর বিধান। আল্লাহর ক্ষমতার নিদর্শন। তিনি রাজাধিরাজ। অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তার ক্ষমতার কোনো অন্ত নেই। কোনো শেষ নেই। তিনি চাইলে নারী ছাড়াও সন্তান জন্ম দিতে পারেন। পিতা ছাড়াও জন্ম দিতে পারেন সন্তান।

হজরত আদম আ. এর জন্ম কোনো নারী বা পুরুষের মাধ্যমে হয়নি। বরং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একক ক্ষমতায় নিজ হাতে হজরত আদম আ. কে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তীতে আদম আ. এর বাম পাজরের হাড় থেকে আল্লাহ সৃষ্টি করলেন মা হাওয়া আ.কে। এসবই আল্লাহর ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। যেভাবে আল্লাহ নারী-পুরুষ ছাড়া মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সেভাবে শুধু পুরুষ ছাড়াও তিনি সন্তান জন্ম দান করেছেন। আর তিনিই হলেন হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম।

হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মের আগে ফেরেশতারা হজরত মারইয়ামকে এভাবে সুসংবাদ দেন- إِذْ قَالَتِ الْمَلآئِكَةُ يَا مَرْيَمُ إِنَّ اللّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُ اسْمُهُ الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ  (স্মরণ কর) যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম! নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক কালেমা (দ্বারা সৃষ্ট সন্তানের) সুসংবাদ দিচ্ছেন; যার নাম হবে মসীহ, মারইয়াম পুত্র ঈসা। সে হবে দুনিয়া ও আখেরাতে মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত।’ (সুরা ইমরান : আয়াত ৪৫)।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ