শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? ক্ষুধা-অপুষ্টিতে ৫১ শিশুর মৃত্যু, হামলায় প্রাণহানি আরও ৭০ দারুল মাআরিফের নতুন মহাপরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীল কামিল পরীক্ষায় বসেছেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুসলিম উম্মাহ এক যোগ্য সন্তানকে হারালো’ ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস

নারীদের পর্দার বিষয়ে মুফতি তাকি উসমানির মূল্যবান নসিহা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিন মিয়া।।

হে নারী! তোমরা একথা ভেবো না যে, পর্দা তো আমাদের জন্য এক আপদ। বরং জেনে রেখো! নারী জন্মের স্বাভাবিক কথাই হচ্ছে পর্দা বা হিযাব। ‘আওরাত’ নারী শব্দের অর্থ হচ্ছে- গোপনীয় বস্ত বা বিষয়। তাই পর্দা নারী জাতির জন্য এক প্রাকৃতিক বিষয়। সুতরাং যদি নারী-প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়মের বিকৃতি ঘটে, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা নেই। যে প্রশান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা পর্দার ভিতর রয়েছে, তার এক বিন্দুও উচ্ছৃঙ্খল দেহ-প্রদর্শনীর মাঝে নেই। তাই পর্দা নারীর আত্বসম্ভ্রমবোধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মনে হচ্ছে যেন হুযুর সা.-এর অন্তদৃষ্টি আজকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছিল। তিনি বলেছিলেন, কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে এমন কিছু ‘নারী’ দেখা যাবে, যাদের চুল হবে ক্ষীণকায় উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ। চুলের ফ্যাশন উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ উঁচু হওয়ার কথা মহানবী সা.-এর যুগে কল্পনাও করা যেত না। অথচ আধুনিক যুগের ফ্যাশন দেখুন! ঠিক যেন তেমনই চুল নারীরা রাখাছে যেমনটা মহানবী সা. বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, যে সকল নারী দৃশ্যত পোশাক পরিহিতা হবে, কিন্ত সে পোশাক এমন যে তার মাধ্যমে সতরের উদ্দশ্য অর্জিত হয় না। কেননা, সে পোশাক এত বেশি পাতলা বা আঁটসাটঁ, যার ফলে দেহের কাঠামো, এমনকি অন্তর্বাস পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়, এসব মূলত শালীনতাবোধ নিঃশেষ হওয়ারই ফলাফল। ইতঃপূর্বে নারীরা এসব পোশাক পড়বে বলে কল্পনাও করা যেত না। তাদের অন্তরে জাগ্রত ছিল আত্বসম্ভ্রমবোধ। তাদের মন-মস্তিষ্ক এরুপ পোশাক পড়তে সায় দিত না। অথচ আজকের নারীরা পরছে সংক্ষিপ্ত বোকখোলা, বাহুখোলা বড় গলার পোশাক! এ কেমন পোশাক! পোশাক তো সতর ঢাকার জন্য ছিল। ছিল নারী জন্মের স্বার্থকতাকে আরও সার্থক করে তোলার জন্যে! অথচ আজ সে পোশাক সতর ঢাকার স্থলে দেহপ্রদর্শনীর কজেই ব্যবহার করা হচ্ছে!!

আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে অশালীন ‍দৃশ্য ওসব বাড়িতেও দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি করে। যেসব বাড়ির পুরুষরা মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে; তাদের বিয়ের কোনো এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ‍দেখুন, সেখানে কী হচ্ছে! বিয়ে বাড়িতে নারী-পুরৃুষের অবাধ মেলামেশার কথা এক সময় ভাবাও যেত না।

অথচ বর্তমানে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ দাওয়াতের সয়লাব চলছে। নারীরাও আজ অশালীন অঙ্গভঙ্গি নিয়ে, প্রসাধনী মেখে, সাজ-সজ্জায় সজ্জিাঁ হয়ে নির্দ্ধিধায় ওসব দাওয়াতে অংশ নিচ্ছে। যেখানে না ভাবা হচ্ছে পর্দার কথা! আর না তোয়াক্কা করা হচ্ছে লাজ-শরমের। সুত্র: ইসলাহী খুতুবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ