শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? ক্ষুধা-অপুষ্টিতে ৫১ শিশুর মৃত্যু, হামলায় প্রাণহানি আরও ৭০ দারুল মাআরিফের নতুন মহাপরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীল কামিল পরীক্ষায় বসেছেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুসলিম উম্মাহ এক যোগ্য সন্তানকে হারালো’ ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস

এই পদ্ধতিতে বিয়ে শুদ্ধ হয় না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন: আমার এক বন্ধু এক মেয়েকে ফোনে বিয়ে করে। সে মেয়েটিকে ফোনে বলে, আমি তোমাকে এত টাকার মহরে বিবাহ করলাম, তুমি রাজী থাকলে কবুল বল। মেয়েটি তখন কবুল বলে। ফোনে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ছেলের দুজন বন্ধুও মেয়ের কবুল বলা শুনেছিল।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের অভিভাবক তাদেরকে ভিন্ন জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের উভয়ে বলে, আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে। আমরা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। তাই অন্য কোথাও আমরা বিয়ে করব না।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের বিবাহ কি শুদ্ধ হয়েছে? এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কী? বর্তমানে তাদের বাবা-মা চাচ্ছেন তারা একে অপরকে তালাক দিয়ে দিক। এটা কি বৈধ হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর: প্রশ্নোক্ত কথিত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। কারণ, বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য দুজন সাক্ষীর সামনে পাত্র-পাত্রী কিংবা তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে ইজাব-কবুল (বিবাহকার্য সম্পাদন) করা জরুরি।

আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ইজাব-কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) দুটি পৃথক জায়গা থেকে হয়েছে আর সাক্ষীদ্বয় শুধু এক স্থানে উপস্থিত ছিল তাই তাদের উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি এবং তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে পরস্পর স্বামী-স্ত্রী নয়; সুতরাং উক্ত মেয়ের অন্যত্র বিবাহের জন্য তালাক নেওয়ারও প্রয়োজন নেই।

বিয়ে সম্পর্কে জানতে এই বইটি পড়ুন- ক্লিক করুন 

মেয়েটির অভিভাবক চাইলে তার অনুমতি নিয়ে এখনি অন্য কারো সাথে তার বিবাহ দিতে পারবে। আর যদি ঐ ছেলে ও মেয়ে একত্রে ঘর-সংসার করতে চায় তবে তাদেরকে যথাযথ পন্থায় নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।

তথ্যসূত্র: -বাদায়েউস সানায়ে ২/৫২৭; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ২/১৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৪/৩৬; মুঈনুল মুফতী, তুমুরতাশী পৃ. ১৮০; আলবাহরুর রায়েক ৩/৮৮; দুরারুল হুক্কাম ১/৩২৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৬৮

ফতোয়া প্রদানে- ইফতা বিভাগ, মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়া , ঢাকা। 

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ