সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


মহিলা মাদরাসা:  শিক্ষিকাদের আর্তচিৎকার শুনতে পাচ্ছে কি কওমি বোর্ডের জিম্মাদাররা?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| হাসান আল মাহমুদ ||

ইসলামি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কওমি মাদরাসা। ছেলে মাদরাসার পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও স্বতন্ত্রভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে অনেক মহিলা মাদরাসা। আল্লাহর বিধান পর্দা মানার গুরুত্বের কারণেই স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনায় মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উৎসাহ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ আলেমগণ। স্থানীয় এলাকাবাসীদের উদ্যোগে অধিকাংশ ছেলে মাদ্রাসা গড়ে উঠলেও বেশিরভাগ মহিলা মাদ্রাসা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। 

ছোট-বড় অনেক মহিলা মাদ্রাসা থাকলেও অনেক মহিলা মাদরাসা নেই বোর্ডের অন্তভর্ভূক্ত। যেগুলো বোর্ডের অন্তর্ভূক্ত, সেগুলোর অধিকাংশের মানোন্নয়নের ব্যাপারে প্রশ্ন ওঠে বারবার। কিন্তু এ দায় আসলে কার? ‘একটি শিক্ষাবোর্ড’- তার কাজ কি শুধু পরীক্ষা দেওয়া আর নেওয়া? এর বাইরে আর কিছুই করার নেই? শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, সুখ-দুঃখ জেনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা না নিয়ে কওমি অঙ্গনে শোর ওঠে অনেক সময়। আবার অনেক সময় ছেলে মাদ্রাসার সুখ-দুঃখ জানা সহজ হলেও মেয়ে মাদরাসাগুলোর সুখ-দুঃখ, চাহিদা, প্রত্যাশা যেন পর্দার মতোই পর্দাবৃত হয়ে থাকে। ছেলে মাদরাসা নিয়ে নানা উদ্যোগ চোখে পড়লেও মেয়েদের মাদ্রাসার উন্নতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করে আসছেন অনেকে।

শিক্ষার মান, সিলেবাসের উপযোগিতা, আবাসন ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, যোগ্য শিক্ষিকা সংকট, শিক্ষিকার শ্রম অনুপাতে বেতন কাঠামোর প্রতি বৈষম্যতাসহ নানা বিষয়ে সম্প্রতি দেশের বেশকিছু মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষিকা আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন তাদের মতামত, প্রস্তাবনা, অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা।    

৪ দফার প্রস্তাবনা : আলেমা ফাহমিদা জামান 
প্রধান শিক্ষিকা, ইসলাহুল বানাত বালিকা মাদ্রাসা,  বাড্ডা, ঢাকা।

‘বিশ্বের যা কিছু আছে মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’, ইসলাম এমন এক ধর্ম যা নারীদেরকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করেছে।
সেই সাথে ইলমে ওহী আর ইলমে নববীর সংস্পর্শে কওমি মহিলা/বালিকা মাদ্রাসার ব্যানারে যে শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশে চালু আছে, সেই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি মেয়ে দ্বীনের পরিপূর্ণ ধাচে বেড়ে ওঠে। ইসলামের পূর্ণ শিক্ষা আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিজ্ঞতালব্ধ দীক্ষার মাধ্যমে একজন নারী আদর্শবান হিসেবে সমাজের মাঝে গড়ে ওঠে।

আলহামদুলিল্লাহ! সেই বালিকা মাদ্রাসাগুলোকে আরো গোছালো এবং নিয়ম তান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার তত্ত্বাবধানে নেয়ার পর আরো সুন্দর ও গোছালো রূপে পরিচালিত হচ্ছে।

তারপরও কিছু অসঙ্গতি ও অনিয়মের প্রতি খেয়াল করলে আমরা আশা করি আরো শাণিত হবে এই শিক্ষাব্যবস্থা।

চার দফা :

এক. শিক্ষিকা সংকট দূরীকরণ। অনেক মহিলা মাদ্রাসায় নানা কারণে যোগ্য শিক্ষাকা সংকট চরমভাবে। শিক্ষাবোর্ডের তত্ত্বাবধানে শিক্ষিকা প্রশিক্ষণের আয়োজনে যোগ্য শিক্ষিকা নিয়োগের মাধ্যমে মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা আরো উন্নতির দিকে ধাবিত হবে আশা করি। 

দুই. আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন ও শর্ত পূরণের মাধ্যমে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ দেওয়া। নিজের মনগড়া ও ইচ্ছেমতো যত্রতত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার অধিকার সংরক্ষণ করা। 

তিন. পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত করা, আখলাকী-চারিত্রিক বিষয়গুলোতে দায়িত্বশীলদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা প্রদান ও বাস্তবায়ন করা। মাদ্রাসাওয়ারী মুহতামিমদের একটি কোডমার্ক চালু করা। মাদ্রাসায় কোনো পদস্খলন/ দুর্ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে মুহতামিমের এস্তেফা প্রদান এবং মাদ্রাসা বন্ধ এবং খোলার সার্বিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
 
চার. সিসি ক্যামেরা মাদরাসার বহিরাঙ্গনে থাকতে পারে কিন্তু কোনক্রমেই মহিলা মাদ্রাসার অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা যেন না থাকে সে বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি নির্দেশনা জানানো। 


সাত দফার প্রস্তাবনা : আলেমা আফরোজা হুমায়রা 
মুহাদ্দিসা, যাদুরচর হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বালিকা মাদরাসা, সাভার, ঢাকা।

বর্তমান বিশ্বে দ্বীনের নামে যেসব খেদমত চলছে, এগুলোর গোড়া বা মূল অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, এর মূলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দ্বীনি মাদ্রাসাসমূহের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। জাহেলী সমাজ বিবর্জিত, জ্ঞানপিপাসু মুসলিম কন্যাদের কোরআন ও হাদিসের বিশুদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত করে পৃথিবীতে একদল যোগ্য ঈমানদার, আবেদা ও নিষ্ঠাবান আল্লাহর প্রতিনিধি তৈরি করা। সমাজের চাহিদা মোতাবেক বহুমুখী শিক্ষা আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার হুকুমকে সমুন্নত রাখা ও তার সন্তুষ্টি অর্জন করাই এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । এসব কাজ সম্পাদনায় আমাদের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিরাট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর এই উদ্দেশ্য লক্ষ করেই প্রিয় কওমি শিক্ষাবোর্ডের কাছে আমার বিনীত কয়েকটি দাবি ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হলো-

সাত দফা :

এক. মাদ্রাসার ছাত্রীরা কোরআন হাদিসের আলোকে ইলমি গভীরতা অর্জন করে, দেশ ও জাতির পথ প্রদর্শক হওয়ার মন-মানসিকতা দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। এজন্য ছাত্রী থাকাবস্থায় তাদের মাধ্যমে মৌখিক তালিম ও দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দেওয়ার ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাতে করে তারা আল্লাহ ও রাসুলের পথে প্রদর্শক হতে পারে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।

দুই. বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে বাংলা শরাহের অত্যাধিক প্রচলন, যে কারণে ছাত্রীরা না কিতাবের দিকে পূর্ণ মনোযোগী, না উস্তাদের সাথে তাদের আন্তরিক মহব্বত রয়েছে। এমনকি এই শরাহের ওপর নির্ভর করে তারা না ঠিকমতো মোতাআলা করে, না পাবন্দীর সাথে তাকরার করে এবং হাদিসের তাকরীর লেখার প্রতি খুবই অনাগ্রহী। ফলে এস্তেদাদের অবস্থা এই যে, তাদের অধিকাংশই সহিহ করে ইবারতটুকু পড়তে পারে না। সুতরাং বাংলা শরাহগুলোকে বর্জন করে আরবি, উর্দু শরাহ গ্রহণ করা হোক এবং সবক পড়ার জন্য শরাহ ব্যবহারে কঠিন থেকে কঠিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।

তিন. যেহেতু সমস্ত কিছুর মূল কোরআন, সেহেতু প্রত্যেক বোর্ডের জামাতের জন্য কোরআন পরীক্ষা অত্যাবশ্যক করে দেওয়া হোক, যাতে করে প্রত্যেক বছরে প্রতিটি ছাত্রী অলসতা প্রদর্শন না করে কোরআনের ওপর আলাদাভাবে মেহনত করে ও সহীহ শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতে অভ্যস্ত হতে পারে।

চার : মহিলা মাদরাসায় শতভাগ নারী শিক্ষিকার দ্বারা পাঠদান করানোর ব্যবস্থা করা। পুরুষ শিক্ষককে শুধু জিম্মাদার হিসেবে রাখা। তিনি মাহরাম মহিলার মাধ্যমে সবকিছু তদারকি করবেন। 

পাঁচ : বোর্ডের পক্ষ থেকে জেলার দায়িত্বশীলদের নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

ছয় : আয়-ব্যয় ও হিসাব সংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। কারণ অনেকেই মহিলা মাদরাসাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছেন। 

সাত : মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকারা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার। তাদের জন্য একটা বেতন স্কেল চালু করে সেটা কার্যকর করা।

পাঁচ দফার প্রস্তাবনা : আলেমা যাকিয়া সুলতানা
শিক্ষিকা, আহসানুল উলূম মহিলা মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা

নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে নারীদের ভূমিকা অপরীসিম। একজন মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে সাংসারিক জীবনে তার সন্তানের যাবতীয় দ্বীনি চাহিদা ও জ্ঞান পূরণে ভূমিকা পালন করছেন। আমার শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রিক কয়েকটি ভাবনা আমি বেফাক কিংবা অন্য সকল কওমি শিক্ষাবোর্ডের কাছে তুলে ধরতে চাই।

পাঁচ দফা-
এক. মহিলা শাখার মাদরাসাগুলোতে খেদমতরত মহিলা শিক্ষিকাদের বেতন ব্যবস্থা মানবেতর থেকেও অনেক নিচে। আবার তাদের থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের চাহিদা কাজের বুয়ার চেয়েও বেশি। স্বামী-সংসারের পাশাপাশি বা ছেড়ে-ছুড়ে শিক্ষকতার পেশাটা যেন তাদের জন্য মানানসই নয়। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি দিয়েছে তা নয়; বরং যেন ঠাঁই দিয়েছে। কওমি শিক্ষাবোর্ড এক্ষেত্রে একটি নীতিমালা আবশ্যক করে দিতে পারে।  

দুই. যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষিকা তৈরী না হওয়া। এটা অনেকটা সিলেবাস কেন্দ্রিক বিষয়। পুরুষ শাখার সিলেবাসের সাথে আমাদের মহিলা মাদ্রাসার সিলেবাসটা অনেকটা বাঘ-হরিণের লড়াইয়ের মত। সিলেবাসের দূর্বলতার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। মহিলা শাখার সিলেবাসে শতভাগ সফলতার সাথে ফারেগ হওয়া ছাত্রীরাও পড়ানোর বেলায় উপরের জামাতের কিতাব বা মি’য়ারী কিতাব পড়ানোর যোগ্যতা রাখে না। ফলে বাধ্য হয়ে মহিলা শাখাতেও পুরুষ শিক্ষকের নিয়োগ অনিবার্য হয়ে পড়ে। তারা উপরের দিকের কিতাবগুলো পড়ান। আর নারীরা কেবলই তাদের নেগরানীতে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকেন। এ সমস্যা সমাধানে বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।  

তিন. খাবার মানের কথা তো সবাই জানে। অনেকটা বাণিজ্যিকমূখী হওয়ায় এ শাখার অধিকাংশ কর্তা ব্যক্তিরা খাবার মানের দিকে তেমন কোনো খেয়ালই রাখেন না। ফলে রুচি ও পুষ্টিহীনতার অভাবে তাদের শরীর ও মানসিক বিকাশে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এখানে বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো অবদান রাখতে পারে না? 

চার. মহিলা পরিদর্শকের ব্যবস্থাকরণ। বোর্ডের পক্ষ থেকে মহিলা পরিদর্শক এলে মহিলা মাদ্রাসার ভেতরের হাল-হাকিকত সঠিকভাবে যাচাই করতে পারবেন। না হয় বেফাকের পক্ষ হতে প্রেরীত পুরুষ পরিদর্শকরা মাদ্রাসার চাকচিক্যময় অফিস রুমে বসে ভেতরের ব্যবস্থাপনা  ও শিক্ষার মান সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারবেন না।  

পাঁচ. শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষিকাদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্পতে রেগে যাওয়া এবং  আবেগ প্রবণ হওয়া বর্তমানের শিক্ষিকাদের বড় একটা দূর্বলতা। গঠনমূলক মানসিকতা না থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সঠিকভাবে রাহবারি করা নিতান্তই অসম্ভব। স্বভাব জাত হিংসা ও কূট চরিত্র অনেকের মাঝেই প্রকটভাবে বিদ্যমান। তাই শিক্ষিকাদের তালিমি প্রশিক্ষণের  উদ্যোগ কওমি শিক্ষাবোর্ড  নিতে পারে। 

চার দফার প্রস্তাবনা : আলেমা হাবীবা ইসলাম
শিক্ষিকা, নূর জাহান মহিলা মাদরাসা, তেলিপাড়া, গাজীপুর  

নারীদের দ্বীন শেখার গুরুত্ব সবার কাছেই স্পষ্ট। কারণ, ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী একজন মা তার সন্তানকে পারিবারিক ও সামাজিক শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়ে তাকে সুসন্তান ও একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। যেটা অন্য কারও পক্ষে বাস্তবায়ন করা কঠিন। মহিলা মাদরাসা হচ্ছে নারীদের দ্বীন শেখার সুন্দর আয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, কওমি শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর নীতিমালা এবং কাঙ্খিত তদারকি না থাকায় কিছু ব্যক্তির অশোভন আচরণে এই সুন্দর আয়োজনের সৌন্দর্য মাঝে মাঝেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কওমি শিক্ষাধারার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় মহিলা মাদরাসার ব্যাপারে কওমি শিক্ষাবোর্ডের কাছে আমার কিছু প্রত্যাশা আছে। 

এক. মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং জেলা ভিত্তিক মনিটরিং সেল থাকা। মনিটরিং সেলের পক্ষ থেকে মহিলা মাদরাসাগুলো কঠোর তদারকি করা হবে। কোথাও কোন সমস্যা হলে সঠিক তদন্ত করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 

দুই. প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছাড়া শিক্ষাবোর্ড কোথাও মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিবেন না। 

তিন. কোন মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে সঠিক তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে তাদের নতুন কোন প্রতিষ্ঠান করা বা অন্য কোন মাদরাসায় খেদমত করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। 

চার. যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সাময়িক বাতিল করা।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ